পুননির্বাচন, সিইসি’র পদত্যাগ এবং নির্বাচনে ব্যয়ের ক্ষতিপূরণ চায় ইসলামী আন্দোলন

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: সিটি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে পুননির্বাচনের দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। একই সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) পদত্যাগ এবং নির্বাচনের ব্যয়ের ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

শনিবার সন্ধ্যায় সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ইসলামী আন্দোলনের প্রতিনিধি দল সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।

প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। এ সময় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রার্থী আলহাজ আব্দুর রহমান এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রার্থী শেখ ফজলে বারী মাসউদ উপস্থিত ছিলেন।

গাজী আতাউর রহমান বলেন, গত জাতীয় নির্বাচনের চেয়েও এবার খারাপ ভোট হয়েছে। এর দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনার এড়াতে পারেন না। তার সম্মানে চলে যাওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলন দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। মানুষ ভোট দিতে না পারলে রাজনৈতিক দল থাকার দরকার কী? একদলই দেশ চালাতে পারে।

সরকার কর্তৃত্ববাদী যে শাসন তা ঘোষণা দিয়েই চালাতে পারে। এতে দল রেখে লাভ নেই। সামনে দেশের রাজনীতি কী হবে তা নিয়ে ইসলামী আন্দোলন চরমভাবে শঙ্কিত।

উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, এই প্রহসনের নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। উত্তরা মালেকাবানু স্কুল কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়েছে।

মোহাম্মদপুরের ৩৩নং ওয়ার্ডে পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। শাহ আলী থানায় হাতপাখার এজেন্টকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছে। হাতিরঝিল থানায় আমাকেই ঢুকতে দেয়নি আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ ক্ষেত্রে কোনো সহযোগিতা করেনি।

একই অভিযোগ করেন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী আব্দুর রহমান।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ভোটকেন্দ্রে আমাদের মেয়র প্রার্থীদের প্রবেশ করতে না দেয়া, সরকারদলীয় লোকজনের আতঙ্ক ছড়ানোর মহড়া, কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া ও মারধর করাসহ নানা অনিয়মে নির্বাচন আতঙ্কে রূপ নিয়েছে।

অন্যদিকে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *