কাজী মোঃ জমিরুল ইসলাম মমতাজ (দক্ষিন সুনামগঞ্জ): প্রতিপক্ষের অতর্কিত আঘাতে গুরুতর আহত দক্ষিণ সুনামগঞ্জের রাহেল মিয়ার অবস্থা আশংখাজনক। পারিবারিক ও থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের পার্বতীপুর তালুকগাঁও গ্রামের তারিফ মিয়া ও আহতের পিতা স¤্রাজ মিয়ার সাথে জমিজামা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ২২ ফেব্রুয়ারী সম্্রাজ মিয়ার ছেলে রাহেল মিয়া (২২),হুশিয়ার আলীর ছেলে মারজান মিয়া (২২), আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে রাজা মিয়া তালুকগাঁও নতুন ব্রীজের সুরকী ঠেলাগাড়ী যোগে নিয়ে তালুকগাঁও সরকারি গোপাঠে আসামাত্র পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র রামদা, ডেগার, সুলপি ,লোহার রড নিয়া প্রতিপক্ষ তারিফ মিয়া সহ ১৫ জনের একটি দল সংঘবদ্ধ হয়ে রাহেল মিয়া ও তাহার চাচাত ভাইদের উপর হামলা চালায়।
এ সময় রাহেল মিয়াকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষের লোকজন তাহার মাথার মাঝখানে রামদা দিয়া ছেদ মারে। রামদার ছেদ খেয়ে রাহেল মিয়া অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে রামদা দিয়ে তাহার পেটের ডানপাশে আঘাত করিলে তাহার পেটের ভূড়ি বের হয়ে যায়।
তাৎক্ষনিকভাবে তাকে সিলেট এম এ জি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে প্রতিদিন রাহেল মিয়াকে দুই ব্যাগ রক্ষ দেওয়া হচ্ছে, তাহার অবস্থা খুবই আশংখাজনক, যেকোন সময় প্রাণনাশের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে রাহেলের চাচা আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে তারিফ মিয়া সহ ১২ জনকে আসামী করে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো: হারুনুর রশীদ চৌধুরী ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্ব.বা/শা