কেশবপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানির অভিযোগ: প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

জাতীয় লীড

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: আদালতের স্থগিতাদেশ অমান্য করে তদন্তের নামে কেশবপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানির প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কেশবপুর শহরের ভগ্নি নিবেদিতা মঞ্চে সংবাদ সম্মেলনে ৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক অসিত কুমার মোদক বলেন, আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি বিজ্ঞ ফরিদ আহম্মেদ ও বিজ্ঞ বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ২০১২ সালে ২১ মার্চ কেশবপুর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত স্থগিতাদেশ প্রদান করেন।

অথচ কেশবপুর উপজেলার পাত্রপাড়া (শিকারপুর) গ্রামের মৃত মকছেদ আলীর পূত্র উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলী মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত জীবিত ও মৃত মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আখ্যায়িত করে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে যশোর জেলা প্রশাসক গত ২৬ ফেব্রুয়ারী তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন (রাজস্ব) আসিফ মাহমুদকে দায়িত্ব প্রদান করেন।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারী সকালে ৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধা তাদের মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র ও স্বাক্ষীগণকে সাথে নিয়ে কেশবপুর উপজেলা চত্ত্বরে হাজিরহলে বাদীপক্ষ হুমকী-ধামকী দিয়ে স্বাক্ষীদের সরিয়ে দেয়। যার ফলে অনেকের স্বাক্ষী অনুপোস্থিত প্রমাণিত হয়।

তাছাড়া বাদী পক্ষের উপস্থিতিতে আদালতের স্থগিতাদেশ অমান্য করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন (রাজস্ব) আসিফ মাহমুদ পক্ষ পাতিত্ব ভাবে ৩৪ জন মুক্তিযোদ্ধাকে যাচাই বাছাই করেন। তিনি অনেক মুক্তিযোদ্ধার কাগজপত্র ঠিকমত দেখেন নাই।

তদন্তকারী কর্মকর্তার পক্ষপাত আচারণের কারণে অনেক মুক্তিযোদ্ধা অসম্মানিত হয়েছেন। এব্যাপারে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানগণ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *