স্বদেশ বাণী ডেস্ক: গত রোববার সন্ধ্যার দিকে ঘরের দরজা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন গৃহবধূ জেসমিন (৩৫)। সোমবার সকালে এমনকি দুপুরেও ঘুম থেকে ওঠেননি। বাড়ির আশেপাশের লোকজনের সারাক্ষণ ডাকাডাকি, চিৎকার-চেঁচামেচি কোন কিছুই পৌঁছায়নি তার কানে। শেষে মনে হলো তিনি মারা গেছেন।
সংবাদ দেয়া হলো কোতয়ালি থানা পুলিশের কাছে। পুলিশও বাডি ব্যাগ (মরদেহ বহনের ব্যাগ) ও নারী পুলিশ সদস্য নিয়ে হাজির। পুলিশও অনেক ডাকাডাকি করেও জাগাতে পারেনি জেসমিনকে। সবাই মনে করলো সে মারা গেছে।
পরে এক ব্যক্তি পুলিশের উপস্থিতিতে জানালা ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢুকলেন। সেখানেও ডাকাডাকি, তাতেও কোন সাড়াশব্দ নেই। শেষে এক নারী পুলিশ সদস্য পা ধরে টান দিতেই জেগে উঠেন জেসমিন। ঘুম থেকে বললেন- তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন!
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুরে যশোর শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া কাঁঠালতলা এলাকার আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে। এই ঘটনার পর ওই এলাকার লোকজন জেসমিনকে ‘জিন্দা লাশ’ বলে অভিহিত করলেন।
কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম জানিয়েছেন, জেসমিন ওই এলাকার আব্দুল আজিজের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তার স্বামী দিলীপ ওরফে দিলু একটি মাদক মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে মাস খানেক আগে থেকে কারাগারে।
তিনি ওই বাড়িতে একা ছিলেন। রোববার সন্ধ্যার দিকে তিনি ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন অনেক বেলা হলেও তিনি না উঠায় আশেপাশের লোকজনের সন্দেহ হয়। ধারনা হয় ঘরের মধ্যে স্ট্রোক করে মারা যেতে পারেন। তারাও (পুলিশ) লাশ বহনের ব্যাগ নিয়ে সেখানে হাজি হন। পরে তিনি জেগে উঠেন।
তাসমীম আলম আরো জানিয়েছেন, ওই নারী সম্ভাবত মাদক সেবন করে থাকেন। স্বামী কারাগারে, তিনি একা থাকেন বাড়িতে। নানা দুঃশ্চিন্তায় তিনি মাদক সেবন করে গভীর ঘুমিয়ে ছিলেন। তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার আহমেদ তারেক সামস তাকে মানসিক রোগী হিসেবে ভর্তি করে নেন।
এদিকে সংবাদ পেয়ে ওই বাড়ির আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়। শেষে যখন জীবন্ত উদ্ধার হন জেসমিন; তখন এলাকার লোকজন নানা মন্তব্য করেন। অনেকে ‘জিন্দা লাশ’ বলে মন্তব্যও করেন। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।
স্ব.বা/শা