স্বদেশ বাণী ডেস্ক: করোনার প্রকোপ ঠেকাতে ঘরবন্দি নিম্ন আয়ের মানুষের কাজ নেই। তাই তীব্র হয়েছে খাবার সঙ্কট। রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকার চিত্রটা একটু বেশিই খারাপ। কম আয়ের সাড়ে তিন হাজার পরিবারের বাস ঢাকা উত্তর সিটির ২৮ নম্বরের এই ওয়ার্ডটিতে।
এলাকার দরিদ্র মানুষের দাবি, গত ১৩ দিনেও কেউ যায়নি তাদের খোঁজ নিতে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সম্পদশালীদের কাছ থেকে টাকা পেলেও সমপরিমাণ ত্রাণ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফোরকান হোসেনের বিরুদ্ধে। এলাকার ঘরবন্দি নিম্ন আয়ের বেশিরভাগ মানুষই কোনো সহায়তা পাননি। আর যারা ত্রাণ পেয়েছেন তারা সবাই কাউন্সিলরের লোক বলে পরিচিতি।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিবেদনে জানা যায়, স্থানীয় এক সাবেক এমপি কাউন্সিলর ফোরকানকে দিয়েছেন দুই লাখ টাকা। সিটি করপোরেশন থেকে পেয়েছেন সাড়ে লাখ লাখ টাকা। ত্রাণের কথা বলে চাঁদা তুলেছেন ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা।
অথচ এলাকার বেশির ভাগ দরিদ্র মানুষের দাবি, গত ১৩ দিনেও কেউ আসেনি তাদের খোঁজ নিতে। দেয়নি কোনো খাদ্য সহায়তা। তবে কাউন্সিরের দাবি, এ পর্যন্ত ১৫০০ প্যাকেট খাবার বিতরণ করেছেন। তার মধ্যে ৫০০ প্যাকেট সিটি করপোরেশন দিয়েছে।
কাউন্সিলর ফোরকান বলেন, সরকারিভাবে আমাদের কোনো ত্রাণ আসেনি। আমাদের মাননীয় মেয়র মহোদয় ৫০০ প্যাকেটের একটা অ্যারেঞ্জ করেছে।
কাউন্সিলরের দাবি, খাবার বিতরণে কোনো সংগঠন বা কোনো ব্যক্তি তাকে সাহায্য করেননি। তিনি বলেন, ধনাঢ্য ব্যক্তি যারা দিচ্ছেন তারা ব্যক্তিগতভাবেই দিচ্ছেন। কেউ কারো মাধ্যমে দিচ্ছেন না।
যদিও মোহাম্মদপুরের সাবেক এমপি বলেন, তিনি দুই লাখ টাকা কাউন্সিলরকে দিয়েছেন। এছাড়াও সিটি করপোরেশন থেকে পেয়েছেন সাড়ে লাখ লাখ টাকা। যা তার ব্যক্তিগত সহকারী নিশ্চিত করেছে।
আর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন তিনি ত্রাণের কথা বলে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা তুলেছেন। তবে মোট কত টাকা সংগ্রহ করেছে আর কত টাকার ত্রাণ বিতরণ করেছেন তার স্বচ্ছ হিসাব দিতে পারেননি এই কাউন্সিলর। সূত্র: কালের কন্ঠ।
স্ব.বা/শা