স্বদেশ বাণী ডেস্ক: কিশোরগঞ্জ তাড়াইল উপজেলায় সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির ৬০ বস্তা চাল কালোবাজারে পাচারের সময় ডিলার ও কালোবাজারিসহ দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার দিকদাইর ইউনিয়নের বড়ুহা গ্রাম থেকে পিকআপভ্যান ভর্তি চালসহ তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনার পর ডিলারের গুদাম সিলগালা করে দেয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
আটককৃত দিকদাইর ইউনিয়নের ডিলার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. গোলাম মস্তোফা ও কালোবাজারি চাঁন মিয়াকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
তাড়াইল থানার ওসি মো. মুজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কালোবাজারে চালগুলো বিক্রি করা হয়েছে- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ডিলারসহ ও কালোবাজারিকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে লিখিত অভিযোগ কিংবা নির্দেশ পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, দুর্দিনে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারে পাচারের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল তৎপর হয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে তাড়াইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কালোবাজারে চাল বিক্রির অভিযোগ তদন্তে খাদ্য কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে সরেজমিন তদন্তকাজ শুরু করা হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এ ছাড়া অভিযুক্ত ডিলারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মজুদ রাখা চাল গুদামটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মাহমুদ।
কিশোরগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ তানভীর হোসেন এ ঘটনাটি সম্পর্কে তিনি অবগত হয়েছেন। তাড়াইলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করছেন।
তদন্তে সত্যতা মিললে তিনিই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন এবং ডিলারশিপ বাতিল করে নতুন ডিলার নিয়োগ কিংবা পার্শ্ববর্তী কোনো ডিলারকে এ ইউনিয়নের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।
স্ব.বা/শা