অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা ঘুরলেন ৪ হাসপাতালে তবুও পেলেন চিকিৎসা

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে অসুস্থ এক মুক্তিযোদ্ধাকে হাসপাতালে ঢুকতে দেয়া হয়নি। করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেখানোর পরও তিনি চিকিৎসাসেবা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। টঙ্গী স্টেশন রোডের আবেদা জেনারেল হাসপাতালে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধার নাম শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি। তার বাড়ি টঙ্গী রেলওয়ে জংশনের উত্তর পাশে নতুন বাজার এলাকায়।

মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর স্ত্রী গাজীপুর মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শিরিন শহীদ জানান, তার স্বামী শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ গত কয়েক দিন ধরে জ্বর ও মাথাব্যথায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার তাকে টঙ্গী গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ আসে। পরে তার প্রস্রাব পরীক্ষায় ইনফেকশন ধরা পড়ে।

গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাপত্র নিয়ে তাকে বাসায় নেয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় হঠাৎ তার জ্বর ও মাথাব্যথা বেড়ে গেলে প্রথমে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কোনো চিকিৎসক না পেয়ে তাকে পাশের আবেদা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে নেয়ার পর তার জ্বরের কথা শুনে হাসপাতালের গেটই খোলা হয়নি। এ সময় সঙ্গে থাকা করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেখিয়ে বহু অনুরোধের পরও কোনো চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী তার কাছে যাননি।

শিরিন শহীদ বলেন, আমার স্বামীর অন্তত প্রেসারটা (রক্তচাপ) মেপে দেখার জন্য তাদের বহু অনুরোধ করেছি। কিন্তু তাদের একটুও দয়া হয়নি। কোনো ধরনের সহযোগিতা ও সহানুভূতি দেখাননি তারা। প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করে অবশেষে বাধ্য হয়ে তাকে বাসায় ফেরত নেয়া হয়।

শুক্রবার সকালে তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে বন্ধের অজুহাতে তাকে পরের দিন (শনিবার) যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর তাকে উত্তরায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হলে করোনা পজেটিভ না থাকায় সেখান থেকেও ফেরত দেয়া হয়। তার সঙ্গে থাকা ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী বাসায় চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং তার জ্বর ও মাথাব্যথা রয়েছে বলে শিরিন শহীদ জানান।

চিকিৎসাসেবা না দিয়ে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আবেদা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইফতেখার আহমেদ বলেন, আমার হাসপাতালে এমন হওয়ার কথা নয়; আমি সবাইকে পিপিইসহ সব ধরনের সুরক্ষামূলক উপকরণ দিয়েছি। কেন এমন হলো আমি খবর নিচ্ছি। সূত্র: জাগো নিউজ।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *