দেড়মাস অতিবাহিত হলেও কেশবপুরে যৌত্যুকের বলির শিকার নব-বধূ সালমা খাতুনের মৃত্যুরহস্য উন্মেচিত হয়নি

জাতীয়

যশোর প্রতিনিধি: দেড়মাস অতিবাহিত হলেও কেশবপুরে যৌত্যুকের বলির শিকার নব-বধূ সালমা খাতুনের মৃত্যুরহস্য উন্মেচিত হয়নি। মৃত্যুরহস্য অন্ধকারেই রয়েগেছে।

এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে, কেশবপুর উপজেলার গোপসেনা গ্রামের মোসলেম গাজীর পূত্র ওমর ফারুক (৪২) এর সাথে গত ১ জুন মণিরামপুর উপজেলার পারখাজুরা গ্রামের মজিবার রহমানের কন্যা সালমা খাতুন (২৫) এর বিবাহ সম্পন্ন হয়। যে বিবাহ ওমর ফারুকের প্রথম স্ত্রী রাশিদা বেগম (৩৬) ও তার পূত্র সুমন (২০) মেনে নেয়নি। বিবাহের পর থেকে যৌত্যুকের দাবীতে তারা প্রায়ই নব-বধূ সালমার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালাতো তারা। বিবাহের মাত্র ২৪ দিনের মাথায় গত ২৪ জুন ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় স্থানীয় চিংড়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই দীপক দত্ত সালমা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর মর্গে প্রেরণ করেন। সেই থেকে স্বামী ওমর ফারুক, তার প্রথম স্ত্রী রাশিদা বেগম ও পূত্র সুমন পলাতক রয়েছে।

মৃত সালমা খাতুনের পিতা মজিবার রহমানের অভিযোগ, যৌত্যুকের দাবী পূরণ করতে না পারায় তার জামাই ওমর ফারুক, তার প্রথম স্ত্রী রাশিদা বেগম ও পূত্র সুমন মিলে তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দিয়ে এলাকায় আতœহত্যার অপপ্রচার চালিয়েছে। তার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে, তাই যদি না হবে তাহলে বাড়ীর লোকজন সব পালিয়েছে কেন? তিনি আইনের মাধ্যমে তার মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

এব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জসিম উদ্দীন জানান, এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হবে।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *