দূর থেকে তাকালে মনে হবে, রাস্তা নয় যেন মরা খাল!

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: বগুড়ার শেরপুরে শাহ বন্দেগি ইউনিয়নের শেরুয়া বটতলা থেকে ভবানীপুর ও শেরুয়া-ধুনট মোড় বাইপাস রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। আর এ রাস্তাটি দিয়ে উপজেলার শাহ বন্দেগি, মির্জাপুর, ভবানীপুর, বিশালপুর ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ শহরে আসা-যাওয়া করে এই রাস্তা দিয়ে।

কিন্তু এখন এই রাস্তার এতই বেহাল দশা যে, দূর থেকে তাকালে মনে হবে– রাস্তা নয়, যেন একটি মরা খাল!

দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী রাস্তাটি মেরামতের দাবি জানালেও তা পূরণ হয়নি; বরং পথচারীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, শেরপুর উপজেলার ১০নং শাহ বন্দেগি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের শেরুয়া বটতলাবাজার থেকে শুরু করে এক কিলোমিটার পাকা রাস্তা ও শেরুয়া বটতলা থেকে ফরেস্ট রোড পৌর মেয়রের বাড়ি হয়ে ধুনট মোড় তালতলা পৌঁছানোর রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। এ রাস্তা দিয়ে উপজেলার চার ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে শহরে।

গত দুই বছরেও সংস্কার বা মেরামত না হওয়ায় বড় বড় খানাখন্দ ও গর্তে পরিণত হয়েছে রাস্তাটি। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদামাটিতে একাকার রাস্তাটি। পানি নিষ্কাশনের কোনো সুব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই দীর্ঘদিন ধরে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে মৎস্য খামার, বাছাই মিল, চাতাল ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও এলাকার বাসিন্দাদের।

ব্যস্ততম এ রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন কৃষক তার পণ্য নিয়ে হাটবাজারে আসে। এ রাস্তাটিতে প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কেউ অসুস্থ হলে এই রাস্তা দিয়েই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে হয়। এ রাস্তাই এসব মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম।

কিন্তু মেরামতের অভাবে এখন চলাচল অযোগ্য। ফলে বাজারে মালামাল বহনে ও গাড়ি চলাচলে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।

এলাকার ব্যবসায়ী নুরু, শামিম, রায়হান, পারভেজ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। আমরা সরকারের বিভিন্ন দফতরে বহুবার অভিযোগ দিয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি।

১০নং শাহ বন্দেগি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য ছানোয়ার হোসেন জানান, রাস্তাটি দ্রুত মেরামতের দাবিতে এ নিয়ে গত জুন ২০১৯ সালে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ২ জুন ২০১৯ সালে বগুড়ার ‘শেরপুরের শেরুয়া এলাকায় পানি নিষ্কাশনে ড্রেন নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর’ শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।

কিন্তু মেরামতের অভাবে এখন চলাচল অযোগ্য। ফলে বাজারে মালামাল বহনে ও গাড়ি চলাচলে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। যানবাহন দূরের কথা, পায়ে হেঁটেও এখন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা কষ্টকর।

এলাকার চালক মশিউর রহমান, রাজু আহম্মেদ, আরিফ বলেন, আমরা হাইওয়ে দিয়ে সিএনজি চালাতে পারি না এই বাইপাস দিয়ে ভবানীপুর পর্যন্ত চলতে হয়। কিন্তু এই রাস্তার বেহাল অবস্থা হওয়ায় যাত্রী নামিয়ে দিয়ে কষ্ট করে পার হতে হয়। অনেক সময় অটোরিকশা উল্টে যায়।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার বলেন, ওইসব এলাকায় রাস্তাটি সংস্কার করতে ড্রেনেজব্যবস্থা করতে হবে। ড্রেনেজব্যবস্থা তৈরি করতে বড় অর্থে প্রয়োজন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী শেখ বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের দেয়া প্রকল্পের মাধ্যমে শিগরিগই রাস্তাটি সংস্কার করে ভুক্তভোগীদের সমস্যা সমাধান করা হবে। সূত্র: যুগান্তর।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *