ছাত্রীর বাবার সঙ্গে প্রেম করে অন্তঃসত্ত্বা গৃহশিক্ষিকা

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: মেয়ের জন্য রাখা গৃহশিক্ষিকার সঙ্গে প্রেম করার পর জড়ালেন শারীরিক সম্পর্কে। ওই গৃহশিক্ষিকা ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর প্রেমের বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যায়। লোকলজ্জার ভয়ে ওই গৃহশিক্ষিকাকে বিয়ে করেন গৃহকর্তা। যিনি বিয়ে করেছেন তিনিও একজন শিক্ষক। ঘটনাটি এখন বরিশালেরে পটুয়াখালীর বাউফলে ‘টক অব দ্য টাউন’।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের মো. রেজাউল করিম তার পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের জন্য গৃহশিক্ষিকা হিসেবে রাখেন প্রতিবেশী খালেক হাওলাদারের মেয়ে হ্যাপীকে। হ্যাপী স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থী। আর রেজাউল করিম কনকদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কলতা প্যাদা বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি ২ সন্তানের জনক। রেজাউল করিমের বড় ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে অনার্স পড়ছেন।

মেয়ের জন্য রাখা গৃহশিক্ষিকা হ্যাপীর সঙ্গে রেজাউল করিম দীর্ঘদিন চুটিয়ে প্রেম করেন। এক পর্যায়ে তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যান হ্যাপী। বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।

মঙ্গলবার রাতে বাউফলের গোলাবাড়ি এলাকায় এক যুবলীগ নেতার বাসায় বিষয়টি নিয়ে সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে এই কুকর্মের সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার রেজাউল করিমের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়।

এক পর্যায়ে রেজাউল করিম উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে হ্যাপীকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত জানান। পরে কাবিননামায় ৫ লাখ টাকা দেনমোহর উল্লেখ করে স্থানীয় কাজী আব্দুল হালিম বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেন।

বিয়ে করার বিষয়টি স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, একটা সমস্যা হয়ে গেছে। তাই আমার বড় স্ত্রী ও সন্তানদের সম্মতি নিয়েই হ্যাপীকে বিয়ে করেছি। তবে গৃহশিক্ষিকা হ্যাপীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। সূত্র: পূর্বপশ্চিমবিডি।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *