স্বদেশ বাণী ডেস্ক: পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে চালের বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। তবে কোনও বাজারেই নির্ধারিত দামে চাল বিক্রি হচ্ছে না। ফলে এখনও চালের বাজার লাগামহীন। রাজধানীতে চালের পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা যায়, প্রতি কেজি উৎকৃষ্টমানের মিনিকেট চাল ৫১ টাকা ৫০ পয়সা করে ৫০ কেজির বস্তা ২ হাজার ৫৭৫ টাকা এবং মাঝারি মানের প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৪৫ টাকা দরে ৫০ কেজির বস্তা ২ হাজার ২৫০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার আব্দুল গণি সড়কে খাদ্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চালকল মালিক, পাইকারি ও খুচরা চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পরবর্তী সময়ে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর চালের পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করে দেয়। সংস্থাটির মহাপরিচালক মোহম্মদ ইউসুফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মিলগেটে প্রতি কেজিতে নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত ২ টাকা বাড়িয়ে পাইকারি এবং পাইকারি পর্যায় থেকে প্রতি কেজিতে আরও আড়াই টাকা বাড়িয়ে খুচরা পর্যায়ে বিক্রির জন্য দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে উৎকৃষ্টমানের মিনিকেট প্রতি কেজি ৫৩ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করবেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
আর খুচরা ব্যবসায়ীরা তা বিক্রি করতে পারবেন ৫৬ টাকা কেজি। একইভাবে পাইকারি বাজারে মাঝারি মানের মিনিকেট বিক্রি হবে কেজিতে ৪৭ টাকা এবং খুচরা বাজারে তা ভোক্তার কাছে বিক্রি করা যাবে প্রতি কেজি ৪৯ টাকা ৫০ পয়সায়। এরপরও চালের বাজার নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে।
নির্ধারিত দামের বেশি মূল্যে চাল বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারির পরও বাজারে এর কোনও প্রতিফলন নেই। মোটা চালের অনুপস্থিতিতে সব ধরনের চিকন চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪-৬ টাকা। ৫৬ টাকা কেজি মিনিকেট বা নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকা কেজি। পর্যাপ্ত উৎপাদন, যথেষ্ট মজুদ ও সরবরাহ ব্যবস্থায় কোনও ত্রæটি না থাকার পরও চালের মূল্যবৃদ্ধিতে সরকার বিব্রত।
স্ব.বা/বা