স্বদেশ বাণী ডেস্ক : রাজধানীসহ সারাদেশ আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে কুয়াশায়। রাজধানীতে কিছুটা সহনীয় হলেও গ্রামাঞ্চলে বেড়েই চলেছে শীতের তীব্রতা। চলতি মাসেই যা আরও সংকটাবস্থা তৈরি করতে পারে। এতে করে তাপমাত্রা আরও হ্রাস পাবে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে।
গত কয়েকদিনের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কুয়াশার পরিমাণের সাথে জেলা শহরগুলোতে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে শীতের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে। রাতে কুয়াশায় চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে গেলেও দিনের আলোয় বেলা গড়ার সাথে তাপমাত্রা অনেকটাই সহনীয় হয়ে পড়ে। তবে রোদের তীব্রতা অনেক কম।
এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়াসহ বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ও চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌ-রুটে আজও ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে এসব ঘাটে নদী পারের অপেক্ষায় হাজারো যানবাহন।
এছাড়া ঘন কুয়াশায় যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে মাঝ নদীতে আটকা পড়েছে কয়েকটি ফেরি। মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ১০টা থেকে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, যা আজ সকাল পর্যন্ত রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় নদী পারের অপেক্ষায় যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক ও রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড়ের সড়কে কয়েক শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক সিরিয়ালে আটকা পড়েছে। শীতের মধ্যে সিরিয়ালে আটকে থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী, যানবাহনের চালক ও হেলপাররা।
এদিকে, একই কারণে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথেও ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এছাড়া, রাত ১০টার দিকে মেঘনা নদীতে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। যদিও আজ বেলা ১১টার দিকে আবারও চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
অন্যদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। উত্তরাঞ্চলমুখী অধিকাংশই গাড়িই রাতের পাশাপাশি সকালেও লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কুয়াশার পরিমাণ বাড়তে থাকলেও আপাতত শৈত্য প্রবাহ নেই। তবে চলতি মাসের মাঝামাঝি উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় একাদিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সে সময় তাপমাত্র আরও হ্রাস পাবে।