বেগম জিয়ার অদূরদর্শিতায় সাবমেরিন ক্যাবলের সুবিধা থেকে দেশ বঞ্চিত

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক: বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অদূরদর্শীতায় দেশে বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের সুযোগ থাকলেও তা বাস্তবে রূপ নিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি আজ মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত দেশের সকল উপজেলা পরিষদের নবনির্মিত ভবনের উর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণ করে পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় চার হাজার বর্গফুট ফ্লোর এরিয়া ব্যবহার করতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এক সময় দেশে বিনা পয়সায় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের সুযোগ তৈরি হলেও তৎকালীন সরকার প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার অদূরদর্শীতার জন্য তা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়া সে সময় বলেছিলেন, সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপিত হলে দেশের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হবে এবং তথ্য পাচার হয়ে যাবে।’

মন্ত্রী বলেন, তার (বেগম জিয়া) অদূরদর্শিতার জন্য বিনা পয়সায় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের সুযোগ থেকে দেশ ও দেশের মানুষ বঞ্চিত হয়েছে। এমনি এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছিল। তিনি বলেন, কিন্তু ওই সময়ে পৃথিবীর অনেক দেশ সাবমেরিন ক্যবলে যুক্ত হয়ে এখন ব্যাপকভাবে তার সুফল গ্রহণ করছে।

তাজুল বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশ গার্মেন্টস শিল্প বা অন্য কোন শিল্প দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে তারা তথ্য ও প্রযুক্তিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদেরকেও বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমানতালে চলতে হবে। তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর ধনী দেশ হওয়ার জাদু হলো তাদের তথ্য প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন। এটা অনুধাবন করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে পরিকল্পনা করেছিলেন, তা এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের উদ্ভাবনী শক্তিতে তথ্য প্রযুক্তি খাতে দেশের সুনাম এখন সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্টে যখন তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে বিতর্ক হয়, তখন রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০০৮ সালে সরকার গঠনের সময় দেশে ডিজিটাল সেবা বলে তেমন কোন কিছু ছিল না। কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে সরকারের সব সেবা প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *