২ মাসের মামলা ৯৬ মাসেও শেষ হয় না: বিলস

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক: শ্রম আদালতের মামলাগুলো ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ করার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও বড় বড় কোম্পানিগুলোর মামলা ৭ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত চলতে থাকে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস।

সংগঠনটি বলছে, এই মামলাগুলো নিষ্পত্তি হতে বিশেষ কারণে ৬০ দিন থেকে ৯০ দিন বা ১৫০ দিন লাগতে পারে। কিন্তু ৭-৮ বছর গড়ানো কোনোভাবেই কাম্য নয়।

রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) সাংবাদিক ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের অংশ গ্রহণে ‘শোভন কাজের আলোকে বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬: বাস্তবতা ও উন্নয়নের সুপারিশ’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলা হয়েছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ সেক্টরগুলোর মধ্যে প্রথম হচ্ছে গার্মেন্টস সেক্টর। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে গণমাধ্যম। এই সেক্টরের উন্নয়নে আরও কাজ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আইনে অনেক কিছু থাকলেও তার বাস্তবায়ন নেই। যে আইন প্রয়োগ হচ্ছে না, সেই আইন দিয়ে আমাদের কী হবে? আমাদের খারাপ আইনগুলোর ভালো প্রয়োগ হচ্ছে, আর ভালো আইনগুলোর প্রয়োগ হচ্ছে না।’

কর্মশালায় বিলসের মহাসচিব ও নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘শ্রম আইন ও বিধিমালা আরও সংশোধন করতে হবে। এজন্য একটি কমিটি হয়েছে। কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধিরা যাতে ভালোভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেন, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শ্রম আইন বিশ্বের অন্যান্য আইন থেকে অনেক উন্নত। কিন্তু এই আইনটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না।’

কর্মশালায় বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম ‘শোভন কাজের আলোকে বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬: বাস্তবায়ন ও উন্নয়নের সুপারিশ’ শীর্ষক একটি প্রেজেন্টশন উপস্থাপন করেন। এতে তিনি বেশকিছু সুপারিশ উত্থাপন করেন। সুপারিশগুলো হচ্ছে— মজুরির বিনিময়ে উৎপাদন ও সেবামূলক কাজে নিয়োজিত নিয়োগের ধরন, মেয়াদ, পদ নির্বিশেষে প্রতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সকল শ্রমিককে শ্রম আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশের সকল শ্রমিকের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শ্রম আইনে প্রয়োজনীয় বিধিবিধান অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। জাতীয় পেনশন স্কিম চালু করতে হবে। শ্রমিকদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তার আওতা বাড়াতে  হবে।

বিলসের ভাইস চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য শিরীন আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী, বিলসের পরিচালক ও প্রকল্প সমন্বয়কারী নাজমা  ইয়াসমিন প্রমুখ।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *