কলাবাগানে স্কুলছাত্রী হত্যায় দিহানের দায় স্বীকার

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক: রাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার তানভীর ইফতেখার দিহান (১৮) দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে আদালতের অদেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তা রেকর্ডের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক আ ফ ম আসাদুজ্জামান। ঢাকার মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে দিহানকে কারাগারে পাঠানোর জন্য আদেশ দেন।

এর আগে, ওই স্কুলছাত্রী আনুশকা নূর আমিনকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তার ‘বন্ধু’ তানভীর ইফতেখার দিহানকে (১৮) একমাত্র আসামি করে কলাবাগান থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা আলামিন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ফারদিন ইফতেখার দিহান বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে স্কুলছাত্রী আনুশকাকে প্রেমে প্রলুব্ধ করে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর ৬৩/৪ লেক সার্কাস ডলফিন গলি পান্থপথ কলাবাগানের ফাঁকা বাসায় মেয়েটিকে একা পেয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণণে রক্তক্ষরণের কারণে মেয়েটি অচেতন পড়ে। তখন বিবাদী ধর্ষণের বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য মেয়েটিকে নিয়ে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যায়। সেখানে ভিকটিমের মৃত্যু হয়। সংবাদ পেয়ে কলাবাগান থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত হাসপাতালে যায়।

ওই সময় খবর পেয়ে আনুশকার তিন বন্ধু হাসপাতালে গেলে পুলিশ তাদেরও আটক করে। পরে চার জনকে কলাবাগান থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ পরে স্কুলছাত্রীর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়।

কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক আ ফ ম আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, গত রাতে তানভীর ইফতেখার দিহানকে (১৮) আসামি করে ছাত্রীর বাবা ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেছেন। মামলাটির তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *