উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের বাধা কাটল

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক: আইন সংশোধন করে সংসদে বিল পাসের মধ্য দিয়ে উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের ফল প্রকাশের বাধা দূর হলো। এই ফলের অপেক্ষায় রয়েছেন দেশের পৌনে ১৪ লাখ শিক্ষার্থী।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি রোববার সংসদে ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১’ পাসের প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

পাসের সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিলটি পাসের পর প্রজ্ঞাপন করতে দুদিন সময় লাগবে। এর পরই আমরা দ্রুত ফল প্রকাশ করব।

রোববার সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশসহ তিনটি পৃথক বিল পাসের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। উপস্থিত সংসদ সদস্যরা প্রস্তাবের পক্ষে সমস্বরে ‘হ্যাঁ’ বলেন।  পরে স্পিকার জানান, হ্যাঁ জয়যুক্ত হয়েছে, তথা বিল পাস হয়েছে।

এর মধ্য দিয়ে অনিবার্য কারণবশত পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা যাবে। ফল প্রকাশের জন্য পরীক্ষা গ্রহণের বাধ্যবাধকতা দূর হলো। এখন বিশেষ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়াই বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশ করা যাবে। গব বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল যে কোনো দিন প্রকাশ করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ১৯ জানুয়ারি সংসদে বিল তিনটি তোলার সময় বলেছিলেন, শিক্ষার্থীদের ফল ইতিমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে, বিল পাস হলেই তা দ্রুত প্রকাশ করা যাবে।

ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর এই শিক্ষার্থীদের স্নাতক পর্যায়ের বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বিল তিনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে অনুমোদনের সুপারিশ করে।

বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বিল তিনটির প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করে তা পাসের সুপারিশ করেন।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়ার পর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল দেওয়ার বিধান রয়েছে। সংশোধিত বিলে পরীক্ষা ছাড়াই বিশেষ পরিস্থিতিতে ফল প্রকাশের সুযোগ রাখা হয়েছে।

১১ শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ শিক্ষার্থীর এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে।

কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মতো এইচএসসি পরীক্ষাও নেওয়া যাচ্ছে না। ওই সব শিক্ষার্থীর অপেক্ষার পালা শেষ হলো।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *