স্বদেশবাণী ডেস্ক: নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক শিশু ক্যান্সার দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগ ওয়ার্ল্ড চাইল্ড ক্যান্সারের সহযোগিতায় বিভিন্ন কার্যক্রমের আয়োজন করে। ছিল র্যা লিসহ ক্যান্সারজয়ী শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণ এবং আলোচনা সভা।
সোমবার বর্ণাঢ্য র্যা লির মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া র্যা লির উদ্বোধন করেন। ৫০ অধিক ক্যান্সারজয়ী শিশুদের সরব উপস্থিতি র্যা লিটিকে প্রাণবন্ত করে তোলে। শুরুতে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আফিকুল ইসলাম এবং শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল করিম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল করিম।
বিএসএমএমইউ পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. জুলফিকার আহমেদ আমিন শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং শিশু ক্যান্সার চিকিৎসায় নিরলস অবদানের কথা উল্লেখ করেন। বিএসএমএমইউ প্রক্টর অধ্যাপক সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ শিশু ক্যান্সার চিকিৎসার সাফল্যের জন্য ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং চিকিৎসার প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার আশা ব্যক্ত করেন।
শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক চৌধুরী ইয়াকুব জামাল বলেন, সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে আসায় সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অসংক্রমক ব্যাধি যেমন হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের মতো ক্যান্সারের চিকিৎসার গুরুত্ব বাড়ছে। আশার কথা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগে শিশু ক্যান্সার রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার মানসম্মত ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠেছে। প্রতিটি শিশুর রোগ নির্ণয়ের পরও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয় চরম সফলতা পাওয়ার জন্য। তাদের নিরন্তর এই সংগ্রামের ফল এ ক্যান্সার জয়ী শিশুরা এবং এই কান্সারজয়ী শিশুরাই পরবর্তী ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের ক্যান্সার জয়ে প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
এই আয়োজনে ৫০ জনের বেশি ক্যান্সারজয়ী শিশুর কবিতা আবৃত্তি, গান, গজল, নাচসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দিবসটিকে আকর্ষণীয় করে তুলে।