নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে: স্পিকার

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সংবিধান রচনা করে নারীর অধিকারের বীজ বপন করেছেন। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে নারীদের অধিকার সুনিশ্চিত করেছেন।

বর্তমানে পলিসি লেভেল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কর্মক্ষেত্র সবখানে নারীরা এগিয়েছে। গত কয়েক দশকে নারী শিক্ষায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এখন উচ্চশিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমাদের উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীদের পিছিয়ে রাখা চলবে না। সেজন্য নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। কর্মক্ষেত্রে সবার সহায়ক মাইন্ডসেট তৈরি করতে হবে।

তিনি বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২১ উপলক্ষ্যে এক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

চুয়েটে যৌন নিপীড়নমূলক কার্যকলাপ দমনে গঠিত অভিযোগ কমিটির আহবায়ক ও পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়শা আখতারের সভাপতিত্বে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের তাৎপর্য বিষয়ক উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৬ আসনের সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এবং চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে অনুসরণীয় একটি নাম। দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও মন্ত্রী সবকিছুতেই নেতৃত্বে দিচ্ছেন আমাদের নারীরা। নারী অধিকার ও ক্ষমতায়নে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে তো বটেই, উন্নত অনেক দেশ থেকেও এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। নারীরা এগিয়ে গেলে দেশ এগিয়ে যাবে।

চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বের রোল মডেল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। ঘরে-বাইরে, রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে সর্বত্রই নারীর অংশগ্রহণ প্রায় নিশ্চিত হয়েছে। এখন দূর গ্রামাঞ্চলেও নারী আর তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের বিষয় নয়। কর্মক্ষেত্রে নারীরা দক্ষতা প্রমাণ করছেন, কৃতিত্ব দেখাচ্ছেন।

যৌন নিপীড়নমূলক কার্যকলাপ দমনে গঠিত অভিযোগ কমিটির ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত উক্ত ওয়েবিনারে আরো বক্তব্য রাখেন অভিযোগ কমিটির সদস্য ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রাজিয়া সুলতানা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মানবিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদা সুলতানা। ভার্চুয়াল সেমিনারের শুরুতে চুয়েটে নারীর অবস্থান বিষয়ক একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করেন পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার। পরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে চুয়েটের শিক্ষার্থীদের নির্মিত অ্যানিমেশন ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *