চিকিৎসক পদক পাচ্ছেন ১৪ ব্যক্তি ও তিন প্রতিষ্ঠান

জাতীয় লীড

স্বদেশবাণী ডেস্ক: করোনা মহামারিতে থমকে গিয়েছে সারা বিশ্ব। করোনার এই থাবা এখনো চলমান। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর অভাব, সীমিত পরীক্ষা ব্যবস্থা, অপর্যাপ্ত চিকিৎসাসামগ্রী সত্ত্বেও বাংলাদেশের চিকিৎসক ও অন্যান্য চিকিৎসা পেশাকর্মীরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করেছেন।

তাই  চিকিৎসকদের কার্যক্রম ও অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ মেডিকেল টিচার্স ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ও চিকিৎসকদের সংগঠন প্ল্যাটফর্ম অব মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল সোসাইটি চিকিৎসক পদক দেবে। এছাড়াও গত ১ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত চিকিৎসক সপ্তাহ উৎযাপন করছে তারা।

এ বছর ১২ চিকিৎসক, ৩ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান,  একজন সাংবাদিক ও  একজন আইনজীবীকে এ পদক দেয়া হবে।

মঙ্গলবার রাতে যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্ল্যাটফর্ম অব মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল সোসাইটির সভাপতি ডা. ফয়সাল বিন সালেহ।

তিনি বলেন, চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সাফল্য ধরে রাখতে প্রয়োজন যথার্থ অনুপ্রেরণা। তাই উপরোক্ত দুই সংগঠনই প্রতি বছর চিকিৎসক সপ্তাহে তাদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘চিকিৎসক পদক’ প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

ডা. ফয়সাল বিন সালেহ বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতের বিভিন্ন সেক্টরে গুরত্বপূর্ণ অবদান রাখা সকল চিকিৎসক এবং অন্যান্য সেক্টরের মানুষ যারা চিকিৎসাখাতে গুরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাদেরকে এই ‘চিকিৎসক পদক’ প্রদান করা হবে।

চিকিৎসকদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্ল্যাটফর্মের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত ১৭৭ জন চিকিৎসক (২৭ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত) এই করোনা যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেছেন।  সামগ্রিকভাবে আমাদের দেশের স্বাস্থ্যখাতে ও করোনা মোকাবেলায় চিকিৎসকদের ভূমিকা অপরিসীম।

প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এতদিন চিকিৎসকদের অবদান যদিও এত গুরুত্ব সহকারে কোথাও বলা হয়নি, কিন্তু এখন মনে হয় চিকিৎসকদের এই অবদান দেশবাসীর কাছে তুলে ধরার এবং তাদের কথাগুলো শোনার জন্য একটি উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম তুলে ধরার সময় এসেছে।

যে কারণে চিকিৎসা সপ্তাহ পালনের সিদ্ধান্ত

প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চিকিৎসক সমাজের প্রবাদ পুরুষ জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী ১ এপ্রিল।  স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তিনি ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছিলেন।  এছাড়াও দীর্ঘদিন তৎকালীন আইপিজিএমআর (বর্তমান শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) এ পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন দেশের কিংবদন্তি এ চিকিৎসক।

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন।  বাংলাদেশের পোস্টগ্র্যাজুয়েট চিকিৎসা ব্যবস্থার স্থপতি এই কিংবদন্তি চিকিৎসক গোটা জীবন ধরে চিকিৎসা গবেষণা, শিক্ষকতা, নিয়মানুবর্তিতা ও প্রশাসনিক বিচক্ষণতায় এক নজির স্থাপন করে গেছেন। ১৯৬০ সালের শেষের দিকে ডা. নুরুল ইসলামের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিসিন অনুষদ খোলা হয়।

১৯৮২ সালে ঔষধনীতি প্রণয়নের মাধ্যমে তিনি ক্ষতিকর ও অপ্রয়োজনীয় ঔষধের ব্যবহার বন্ধে কাজ করেছিলেন।

চিকিৎসক সপ্তাহের শেষ দিন ৭ এপ্রিল হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। সারা বিশ্বজুড়ে এই দিনটি অত্যন্ত মর্যাদার সাথে পালিত হয়। এই তাৎপর্যপূর্ণ দিনটি উৎযাপনের মাধ্যমেই চিকিৎসক সপ্তাহ শেষ হচ্ছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *