ভাষানটেক হত্যার রহস্য উন্মোচন : সেই নারীর হত্যাকারী রিপন

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক: মাত্র ৭২ ঘন্টার মধ্যে ভাষানটেক হত্যার রহস্য উন্মোচনের দাবি করেছে পুলিশ। কার্টনে অজ্ঞাত নারীর মৃতদেহ পাওয়ার পর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘাতক সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। পুলিশের দাবি, গ্রেফতার ডেলিভারী বয় রিপনই ওই নারীকে গলাটিপে হত্যা করেছে।

কাজীপাড়া এলাকার একটি অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ৩১ মার্চ রাতে এক নারীকে নিয়ে রিপন একটি বাড়ীতে প্রবেশ করছে। কিন্তু বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় রিপন ছিল একা। দেখা যায়, রিক্সায় একটি কার্টন নিয়ে সে চলে যাচ্ছে। পরবর্তীতে কার্টনটি ফেলা হয় ভাসানটেক এলাকায়।

ভাসানটেক থানা পুলিশ বলছে, ওই কার্টনের ভেতরই ছিলো নাজমা বেগম নামের ওই নারীর মরদেহ।

ভাসানটেক থানার ওসি মো: দেলোয়ার হোসেন বলেন, তাকে ৪শ’ টাকা দিবে এই চুক্তিতে সে ওই ছেলের বাসায় যায়। যাওয়ার পর তারা দু’বার মিলিত হয়। ৫শ’ টাকা দিলে মেয়েটি বলে কি টাকা দিচ্ছেন, আমাকে দেড় লাখ টাকা দিতে হবে। তাকে ভয় দেখাচ্ছে যে আমার র‌্যাব আছে, পুলিশ আছে। তোমাকে আমি র‌্যাব-পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিব। তখন ছেলেটি উত্তেজিত হয়ে মেয়েটিকে গলা চেপে ধরে, এক পর্যায়ে মেয়েটি মারা যায়।

গত ৪ এপ্রিল নগরীর আসাদগেট এলাকা থেকে রিপনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এই ক্লুলেস মামলার রহস্যে উদঘাটনে চ্যালেঞ্জের কথা বলছে পুলিশ।

মিরপুর বিভাগের ডিসি (পুলিশ) আ স ম মাহাতাব বলেন, এরকম যে কার্টুনে করে লাশ ফালানো যায় এই আইডিয়াটিও কিন্তু নতুন। কার্টন করা, কাগজ দিয়ে মোড়ানো এই এভিডেন্সগুলো দেখে মনে হচ্ছে এটা প্রি-প্ল্যান মার্ডার। লাশ দেখে মনে হচ্ছে প্রি-প্ল্যান করে মার্ডার করার মতো ভিকটিম সে নয়। এখানেই আমাদের একটি চ্যালেঞ্জ ছিল।

দ্রুত হত্যা মামলাটির চার্জশীট দেয়ার আশা তাদের।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *