ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যায় ইউপি সদস্যসহ ৮ জনের নামে মামলা

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় বারবাকিয়া পাহাড়ি এলাকা ভারুয়াখালীতে ঘরে ঢুকে কাঠ ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। তবে ওই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে।

শনিবার রাতে নিহতের স্ত্রী শামিনা বেগম বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

জাহাঙ্গীর আলমকে (৪০) পেকুয়া থানায় বারবাকিয়ার পাহাড়িয়াখালীর জাফর আলমের ছেলে।

এ মামলায় অন্যান্য যাদের আসামি করা হয়েছে; তারা হলো- একই এলাকার মৃত রব্বত আলীর ছেলে নেজাম উদ্দিন (৩৫), উসমান গণির ছেলে জসিম উদ্দিন(৩৫), সৈয়দ নুরের ছেলে শাহাব উদ্দিন (৪০), নুরুচ্ছফার ছেলে আল মুমিন (২৫), মৃত নজির আহমদের ছেলে জাফর আলম, আবুল কালামের ছেলে মো. আরমান (২৮) ও রাজা মিয়ার ছেলে নুরুজ্জামান (৪৫)।

এলাকাবাসী জানান, জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও খুনসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। তিনি বারবাকিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। জাহাঙ্গীর আলম ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছেন।

চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে বালি উত্তোলন, টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে বনভূমির দখল বেচাবিক্রি ও দখল বেদখল তার প্রধান কাজ। এসব কাজে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে তাদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়।

তার দখল বেদখলে বাঁধা দেওয়ায় গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালী এলাকায় কাঠ ব্যবসায়ী নেজাম উদ্দিনকে কপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শামিনা বেগম বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় বারবাকিয়ার পাহাড়িয়াখালীর জাফর আলমের ছেলে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা রুজু করেন।

গত বছরও জাহাঙ্গীর আলম এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ওই ঘটনায় তাকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) কানন সরকার জানান, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *