স্বদেশবাণী ডেস্ক: নোয়াখালী বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে মোবাইলে হুমকি দেয়ার অভিযোগে জিডি করেছে পুলিশ।
কোম্পানীগঞ্জ থানায় কর্মরত পুলিশের এসআই রিয়াদুল হাসানকে গত মঙ্গলবার রাতে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা তার অনুসারী হামিদের মোবাইল থেকে এ হুমকি দিয়েছেন। তবে অজানা কারণে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি ও হুমকিপ্রাপ্ত এসআই রিয়াদুল হাসান এ বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুলছেন না।
ওসি ও এসআই এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করায় একই বিষয়ে বৃহস্পতিবার নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনি তো অনেক লোককেই হুমকি দেন, ওসিকে কত উল্টাপাল্টা কথা বলেন। এটা নতুন কিছু নয়। এ রকম ঘটনা সেখানে (কোম্পানীগঞ্জে) অনেক। জিডি একটা করে রেখেছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মেয়র কাদের মির্জা তার অনুসারী হামিদের মোবাইল থেকে এসআই রিয়াদুলের ফোনে কল দেন। রিয়াদুল কল রিসিভ করার পর হামিদ ফোনটি মেয়র কাদের মির্জার হাতে দেন। মেয়র ফোন নিয়ে বলেন, আমি মেয়র বলছি- এই, তোর বাড়ি কই? তখন রিয়াদুল বলেন, আমার বাড়ি দিয়ে আপনি কী করবেন? তখন মেয়র উত্তেজিত হয়ে তার অনুসারী মিকন, রাজুসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে তাদের কেন ধরা (গ্রেপ্তার) করা হলো, সে অভিযোগ করেন।
একপর্যায়ে মেয়র কাদের মির্জা বলেন, অডা (এই বেটা) তুই কন্তুন অইছত (কোথায় থেকে বের হয়েছ)? এত বড় হনু (ক্ষমতা)! আমার লোকজনরে ধমকাইবি, তোর বিপদ আছে। তোরে অ্যাঁই দেখি নিমু, কই দিলাম (বলে দিলাম তোমাকে আমি দেখে নেব)। এরপর মেয়র নিজেই ফোন কেটে দেন।
ওই সূত্র জানায়, মেয়র ফোন কেটে দেওয়ার পর এসআই রিয়াদুল বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত ও আলোচনা করে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
থানার এসআইকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে কাদের মির্জার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।