স্বদেশবাণী ডেস্ক: তুচ্ছ ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা মামলার ৮ দিন পরেও গ্রেফতার হচ্ছে না কিশোর গ্যাং গ্রুপের আসামিরা।
রাজধানীর ডেমরায় তুচ্ছ ঘটনায় মো.সাইফুল ইসলাম (১৬) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীকে স্থানীয় একটি কিশোর গ্যাং গ্রুপ ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালায়।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ এপ্রিল শুক্রবার রাতে ডেমরার পশ্চিম হাজীনগর এলাকায়। এ বিষয়ে গত ২৪ এপ্রিল ডেমরা থানায় শিক্ষার্থীর বাবা মো.বেলায়েত হোসেন অভিযুক্ত পশ্চিম হাজী নগর এলাকার কিশোর গ্যাং সদস্য আলী হোসেন, লাভলু, আমির হোসেন, সবুজ, মনির হোসেন, রাহাত, আশিক, সোহাগসহ আরও ৫/৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এদিকে মামলার ৮ দিন অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ গ্রেফতার করছেনা আসামিদের। কিন্তু মামলা তুলে নিতে আসামিপক্ষ থেকে নিয়মিত হুমকি পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধায় মধ্য হাজীনগর এলাকার রাস্তায় মোটর সাইকেলের হর্ণ অতিরিক্ত মাত্রায় বাজায় মধ্য হাজীনগর এলাকার হালিমের ছেলে কিশোর গ্যাং সদস্য বখাটে জাকির হোসেন। এ সময় অযথা হর্ণ বাজানোর প্রতিবাদ করে স্থানীয় কুড়েঘর নামক একটি ক্রীড়া সংগঠনের সদস্য সৌরভ ও আফজাল।
এসময় আফজালের গায়েঁ কুড়েঘরের জার্সি পরা ছিল। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে কিশোর গ্যাং সদস্য জাকির হোসেনকে চড় থাপ্পর মারে আফজাল।
এর জেরে শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে জাকির হোসেন পশ্চিম হাজী নগর এলাকার কিশোর গ্যাং সদস্য আলী হোসেন, লাভলু, আমির হোসেন, সবুজ, মনির হোসেন, রাহাত, আশিক, সোহাগসহ আরও ৫/৬ জন দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে কুড়েঘর সদস্য আফজালকে খুঁজতে থাকে। কিশোর গ্যাং এর নেতৃত্ব দেয় লাভলু হোসেন।
এ সময় কুড়েঘরের জার্সি পরিহিত অবস্থায় তারাবীর নামাজ পড়ে স্কুল শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বাসায় ফিরছিলেন। সাইফুলের গায়েঁ কুড়েঘরের জার্সি দেখে কিশোর গ্যাং সদস্যরা সাইফুলকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালায়। তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফুলকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। প্রচুর রক্তক্ষরণের পাশাপাশি তার ক্ষতস্থানগুলোতে ৩০টির অধিক সেলাই লেগেছে। আহত সাইফুল স্থানীয় হাজী মোয়াজ্জেম আলী আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থী। তবে মামলা রুজুর পর থেকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল মামলা উঠিয়ে নিতে বাদীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন বলে মামলার বাদী বেলায়েত হোসেন জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ও,সি) খন্দকার নাসির জানান, উক্ত ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীদের আইনের আওতায় আনা হবে।