বেনাপোল বন্দরে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

জাতীয় লীড

স্বদেশবাণী ডেস্ক: বেনাপোলে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। ভারতীয় ট্রাক শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ঝুঁকিতে রয়েছেন এ বন্দরের কর্মকর্তারা। যদিও বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, সকল বিধি মেনেই চলছে বন্দরে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।

ভারতে করোনা সংক্রমণ তীব্র হলে গেল ২৬ এপ্রিল সীমান্তে যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ। তবে সচল রয়েছে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। প্রতিদিন বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করছে পণ্যবাহী আড়াইশ’ থেকে তিনশ’ ভারতীয় ট্রাক। এসব ট্রাকের চালকরা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। মাস্ক নেই কারো মুখে। বাংলাদেশে ঢোকার আগেই খুলে ফেলছেন পিপিই।

বাংলাদেশি শ্রমিকরা জানান, অনেকেই পিপিই ব্যবহার করছেন না, খালি হয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন। ড্রাইভার ও হেলপাররা পিপিই পড়া অবস্থায় বাংলাদেশে প্রবেশ করছে অথচ ঢোকার সাথে সাথে ওরা পিপিই খুলে ফেলছে।

স্বাস্থ্যবিধি ছাড়াই ভারতীয় চালক-শ্রমিকদের এমন অবাধ চলাচলে ঝুঁকিতে পড়েছেন বেনাপোল স্থলবন্দরে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিক ও সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীরা।

সিএএন্ডএফ কর্মচারীরা জানান, পিপিই ও মাস্ক এগুলো পরিধান করে চালকরা বাংলাদেশে প্রবেশ করবে কিন্তু সেরকম কোন পরিবেশ আমরা দেখতে পাইনি। এদের সঙ্গে সবসময় আমাদের কাজ করতে হচ্ছে।

তবে প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্দরে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন তারা। বিধি মেনেই চলছে সেখানকার সকল কার্যক্রম।

বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, স্থলবন্দরে যেসব শ্রমিক কাজ করছেন তাদেরকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

যশোর জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেন, ভারত থেকে যেসব ড্রাইভাররা আসেন, তারা বিশেষ জায়গাতেই থাকেন। তারা যে লোকালয় আসেন, স্থানীয়দের সংস্পর্ষে আসেন তা নয়।

তবে দু’দেশের শূন্য রেখায় ভারতীয় ট্রাকে জীবাণুনাশক স্প্রে ও থার্মাল স্ক্যানারে চালকদের তাপমাত্রা যাচাইয়ের পরই দেয়া হচ্ছে বেনাপোলে প্রবেশের অনুমতি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *