দেশেই টিকা উৎপাদনের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

জাতীয় লীড

স্বদেশবাণী ডেস্ক:  করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহ ব্যবস্থায় সমস্যার কারণে দেশেই টিকা উৎপাদনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত টিকার ফর্মুলা ও কাঁচামাল পেলে বাংলাদেশেই উৎপাদন সম্ভব। তারপরও বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের পাশাপাশি উৎপাদনের বিষয়ে দ্রুত কূটনৈতিক দেন-দরবারের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

চুক্তি অনুযায়ী ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে প্রতি মাসে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার ৫০ লাখ করে মোট তিন কোটি ডোজ টিকা আসার কথা ছিল। উৎপাদন সমস্যা এবং ভারতে পরিস্থিতির অবণতি হওয়ায় গত তিন মাসে কোন টিকা আসেনি। এ অবস্থায় বিকল্প উৎসের সন্ধানে সরকার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হতাশ হওয়ার কিছু নেই, অক্সফোর্ডের টিকা আনার চেষ্টা চলছে।

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, উৎপাদনের উপর নির্ভর করে তো, যদি প্রয়োজনীয় কাঁচামাল পায় তাহলে তারা আরও উৎপাদন করবে। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে রফতানি করবে বলে আমার মনে হয়।

আইইডিসিআর’এর সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুশতাক হোসেন বলেন, কোন কোন প্রতিষ্ঠান তো আগেই থেকেই আমাদের এখানে টিকা তৈরি করছেই। যে প্রতিষ্ঠানের টিকা তৈরি করা হবে সে প্রতিষ্ঠানের সাথে দ্বিপাক্ষিক কারিগরি সহায়তা চুক্তির প্রয়োজন হবে।

চীনের সিনোফার্মের টিকা ও রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি আমদানির কাজও চলছে। উপহার হিসেবে সিনোফার্মের ৫ লাখ ডোজ টিকা এরই মধ্যে এসেছে। রাশিয়াও কিছু টিকা দিতে চেয়েছে। এমনকি গোপন রাখার শর্তে ফর্মুলাও দিতে রাজি দেশটি। তাই অন্যের উপর নির্ভরশীল না হয়ে দেশে টিকা উৎপাদনের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ভারতের বাইরে যেসব কারখানায় অক্সফোর্ডের টিকা তৈরি করা হচ্ছে, অনেকগুলো দেশেই এটা হচ্ছে। কোন কোন জায়গা থেকে অথবা একাধিক জায়গা থেকে ২০ লাখ টিকা আসা সম্ভব। সেদিকে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।

অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, দ্রুত যাতে আমাদের দেশে টিকা উৎপাদন করা যায় তার বাস্তবসম্মত কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়া উচিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন।

সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি দ্রুততম সময়ে সবাইকে টিকার আওতায় আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *