শহীদ মিনারে উঠে ভিজিএফের টাকা নিলেন তারা

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক: জামালপুরের মাদারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পরিবর্তে বিদ্যালয় ভবন ব্যবহার করে বিতরণ করা হচ্ছে ভিজিএফের টাকা। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পার্শ্ববর্তী চরগোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় বসে টাকা বিতরণ করছেন।

এতে ওই টাকা নিতে শহীদ মিনারের বেদিতে উঠতে বাধ্য হচ্ছেন ভিজিএফের সুবিধাভোগীরা বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দিনভর উপজেলার জোড়খালী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সুবিধাভোগীদের মধ্যে ঈদ উপলক্ষ্যে ভিজিএফের টাকা বিতরণ করা হয়। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পার্শ্ববর্তী চরগোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় বসে টাকা বিতরণ করছেন।

চেয়ারম্যান-মেম্বাররা নিজেদের সুবিধার জন্য বিদ্যালয়ের বারান্দাঘেঁষা শহীদ মিনারের পেছনে বসে টাকা বিতরণ করায় ভিড়ের মধ্যে লোকজন শহীদ বেদি এমকি মিনারের চূড়ায় উঠে হাত বাড়িয়ে টাকা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তিন দিন ধরে লোকজন টাকা নেওয়ার জন্য ভিড়ের মধ্যে অত্যন্ত দৃষ্টিকটুভাবে শহীদ মিনারের বেদিতে উঠলেও জনপ্রতিনিধিরা টাকা বিতরণের স্থান পরিবর্তন করছেন না।

এ ব্যাপারে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভিজিএফের টাকা বিতরণে উপস্থিত ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি শহীদ মিনারের পেছনে থেকে টাকা বিতরণের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

তিনি উল্টো প্রশ্ন করেন, কে বলেছে শহীদ মিনারের ওপর থেকে লোকজন টাকা নিচ্ছেন?

ইউপি ভবন ছেড়ে স্কুলের বারান্দা ব্যবহার করে ভিজিএফের টাকা বিতরণের কারণ জানতে চাইলে চেয়ারম্যান ফরিদুল বলেন, ইউপি ভবনে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না।

ভিজিএফের টাকা বিতরণের জন্য স্কুলের বারান্দা ব্যবহার করতে দেওয়ার বিষয়ে চরগোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শাহীনুর ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম টাকা বিতরণের নিরাপত্তার জন্য স্কুলের বারান্দা ব্যবহার করতে চাইলে তিনি রাজি হয়েছেন। তবে শহীদ মিনারের ওপরে উঠে টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি দেখেননি বলে জানান।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *