হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারসহ ফাঁসির দাবি কেশবপুরে ছাত্রলীগনেতা সোহান হত্যার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

জাতীয়

এস আর সাঈদ, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের কেশবপুর পৌর সভার ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আয়োজনে ছাত্রলীগনেতা শারাফাত হোসেন সোহান হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারসহ ফাঁসির দাবিতে এক প্রতিবাদ সমাবেশ বুধবার বিকালে বালিয়াডাঙ্গা আব্দুলের মোড় চত্ত্বওে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রমজান আলী মোড়লের নভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হফিজুর রহমান গাজীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মাষ্টার লুৎফর রহমান, এরশাদ আলী গাজী, সহ-সভাপতি মুজাহার দফাদার, সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মোড়ল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সবুর, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক বুলবুল হোসেন বুলি, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কাদের পাড়, ক্রীড়া সম্পাদক হাসান আলী, আব্দুল কুদ্দুস, ৮নং ওয়ার্ডেও সাবেক কাউন্সিলর মফিজুর রহমান খান, আওয়ামী লীগের সদস্য রুবেল হোসেন মোড়ল, সাখাওয়াত হোসেন, মনি মোড়ল, তরিকুল ইসলাম গাজী, ছাত্রলীগ নেতা সোহেল হোসেন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, নিহত ছাত্রলীগ নেতা শারাফাত হোসেন সোহান কেশবপুর পৌরসভার ৯ নম্বর বালিয়াডাঙ্গা ওয়ার্ডের আব্দুল হালিমের পূত্র। তিনি কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ছিলেন। গত ৭ মে (শুক্রবার) সকালে কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার ৯ নম্বর বালিয়াডাঙ্গা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ এবাদত সিদ্দিকী বিপুল এবং পৌর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ গ্রুপের সমর্থকরা বালিয়াডাঙ্গা সাইক্লোন সেল্টারে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ৪৫০ টাকা করে সরকারি সহায়তা দেওয়ার সময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দু’পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। শেখ এবাদত সিদ্দিকী বিপুল ও আবুল কালাম আজাদ গত পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।

সংঘর্ষে আবুল কালাম আজাদের ভাইপো ছাত্রলীগ নেতা শারাফতাত হোসেন সোহান মারাত্মক আহত হলে তাকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ওইদিনই তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১২ মে) রাতে তিনি মারা যান। সোহানের তৃত্যুর খবরে বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই রাতেই এলাকায় পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়।

সংঘর্ষের ঘটনা উলেখ করে সোহানের চাচা পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ বাদি হয়ে কেশবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন- পৌরসভার বালিয়াডাঙ্গা এলাকার মেহেদী হাসান (২৮), শেখ এবাদত সিদ্দিকী বিপুল (৪৬), সোহেল (২৮), রাজু হোসেন (২৩), আব্দুর রশিদ (৪৫), রহিম হোসেন রানা (২৪) ও আমির আলী (৪৫)। মামলায় আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এ মামলার প্রধান আসামি বালিয়াডাঙ্গা এলাকার মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করেছে।

এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উদ্দিন বলেন, সংঘর্ষে আহত সোহান হোসেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওই মামলার আসামি বালিয়াডাঙ্গা এলাকার দাউদ আলীর ছেলে মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *