স্বদেশবাণী ডেস্ক: কুমিল্লা লাকসাম উপজেলায় পুকুর খুঁড়ে স্বাধীনতাযুদ্ধের একটি হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে পৌরশহরে ডুরিয়া বিষ্ণপুর গ্রামের ওই পুকুর থেকে গ্রেনেডটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড ডুরিয়া বিষ্ণপুর গ্রামের ডুরিয়া নামে পুরনো একটি দীঘিতে কয়েক দিন ধরে খনন করছিলেন স্থানীয়রা।
মাটিকাটা শেষে শুকনো দীঘিতে বিকালে কয়েকজন শিশু খেলা করছিল। এ সময় গ্রেনেডসদৃশ বস্তুটি চোখে পড়ে তাদের।
শিশুরা গ্রেনেডটি বল মনে করে সেটি নিয়ে খেলার সময় পাশে থাকা অন্য শিশুরা ওই বস্তুটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের খবর দেয়।
স্থানীয়রা বস্তুটি দেখে গ্রেনেড বলে জানালে আতঙ্কিত ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। তারা জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল করেন।
পরে লাকসাম থানার পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল গিয়ে গ্রেনেডটির চারপাশে নিরাপত্তাবেষ্টনী দিয়ে ঘিরে রাখে। ওই গ্রেনেডটি গায়ে (পিএপ ৬৭) লেখাও রয়েছে।
ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাকসাম সার্কেল ও লাকসাম থানার ওসি। পরিদর্শন শেষে অবিস্ফোরিত পরিত্যক্ত হ্যান্ড গ্রেনেডটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাকসাম সার্কেল মুহিতুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, গ্রেনেডসদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করা হয়েছে। এখন বিশেষজ্ঞ টিম এসে দেখবে এটা কী। তবে যতটুকু ধারণা করা হচ্ছে, গ্রেনেডটি হয়তো মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত হয়েছিল। উদ্ধার করা গ্রেনেডটি থানায় এনে বালু চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লাকসাম থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, গ্রেনেডটি মরিচা পড়া। ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কিংবা বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় গ্রেনেডটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় থেকে যায়।
তিনি আরও জানান, গ্রেনেডটি বিস্ফোরণের জন্য সেনাবাহিনীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পর বিস্তারিত বলা যাবে।