ভাঙন ধরেছে মেরিন ড্রাইভে, বিধ্বস্ত হিমছড়ির চেঞ্জিং ভবন

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক:  ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ভরা পূর্ণিমার জোয়ারের পানির উত্তাল ঢেউ খেলা করেছে মেরিন ড্রাইভের ওপর দিয়ে। ঢেউয়ের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে মেরিন ড্রাইভের অপরূপ দৃষ্টিনন্দন সড়কটির তীর। পাশাপাশি বিধ্বস্ত হয়েছে পাহাড়ি ঝর্ণার আশপাশের বহুতল ভবনসহ হিমছড়ির চেঞ্জিং ভবনটিও।

সরেজমিন দেখা যায়, সাগরের রাক্ষুসে ঢেউয়ের কারণে পর্যটন স্পট হিমছড়ির চেঞ্জিং ভবনের পেছনের মাটি সরে গিয়ে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি ঝূঁকিপূর্ণভাবে বিধ্বস্ত অবস্থায় কোনোমতে দাঁড়িয়ে আছে চেঞ্জিং ভবন। এছাড়া ক্ষতির মুখে পড়েছে স্থানীয় বনবিট অফিসও।

ঢেউয়ের আঘাতে মাটি সরে গেছে মেরিন ড্রাইভের অনেক স্থান থেকে। এসবের পাশাপাশি প্লাবিতও হয়েছে জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল। এদিকে ঘূণিঝড় ইয়াস কক্সবাজারে আঘাত না হানলেও জোয়ারের পানি ও ঢেউয়ের আঘাতে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটন এলাকার নানা স্থাপনা।

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর কুমার সাহা বলেন, কক্সবাজারে বিগত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেছি। কিন্তু ইয়াসের মতো বাড়ন্ত পানি মেরিন ড্রাইভের এত উঁচুতে আসেনি।

কলাতলী মেরিন ড্রাইভ এলাকার আবাসিক হোটেল ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বলেন, বুধবার সকাল ৯টা থেকে সাগরে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেড়ে যায়। সাথে শুরু হয় ঝড়োহাওয়া। ঢেউ আছড়ে কিছু কিছু এলাকায় মেরিন ড্রাইভে উঠেছে পানি। পানিতে প্রায় ডুবে গেছে ইনানীর নির্মিতব্য জেটিঘাট।

রামুর পেঁচারদ্বীপ এলাকার মারমেইড ইকো রিসোর্টের ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, সকাল থেকে শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। ৯টার দিকে আসা জোয়ারের পানি রিসোর্টের পুরো এলাকা তলিয়ে ফেলেছে। অনেক কটেজের দরজায় এসে গেছে পানি। বিগত সময়ে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি আমরা।

রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা বলেন, খবর পেয়েছি কক্সবাজারের দৃষ্টিনন্দন মেরিন ড্রাইভের তীরে আছড়ে পড়ছে জোয়ারের পানি। হিমছড়ি এলাকায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। অন্য এলাকায় সতর্ক দৃষ্টি রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া আছে। জোয়ারের পানি যেন সড়কটির কোথাও স্থায়ী ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।

উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, বিশ্বের দরবারে পরিচিত কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কটি স্থায়ীভাবে রক্ষা করা দরকার। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে জিও ব্যাগ দিয়ে যে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে তাতে সাময়িক সুরক্ষা পাচ্ছে মেরিন ড্রাইভ। তবে এটি স্থায়ী হচ্ছে না। সুতরাং স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা জরুরি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *