ফেসবুক-ফোনে প্রেম করে সর্বস্ব লুট, ৩ ছাত্রলীগকর্মী গ্রেফতার

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক:  ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় ফেসবুকে নারীর ছবি দিয়ে দীর্ঘদিন প্রেম করে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে মো. আইয়ুব খান (২৮) নামে এক এনজিওকর্মীকে জিম্মি করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তিন ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে গ্রেফতার তিন ছাত্রলীগকর্মীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী আইয়ুব সাজেদা ফাউন্ডেশন নামক একটি এনজিওর চট্টগ্রামের ভুজপুর শাখার অফিস সহকারী ও ভুজপুর থানার জজখোলা মহানগর এলাকার বাসিন্দা।

এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সোনাগাজী-কাশ্মীর বাজার সড়কের পৌরসভার চরগণেশ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই এনজিওকর্মী বাদী হয়ে সোনাগাজীর স্থানীয় ছাত্রলীগকর্মী ইমাম হোসেন, মশিউর রহমান, ফখরুল ইসলাম, আবু বক্কর ছিদ্দিকসহ অজ্ঞতানামা কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এর পর রাতেই ইমাম হোসেন, মশিউর রহমান ও ফখরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গ্রেফতার আসামিরা ফেসবুকে নারীর ছবি ব্যবহার করে বিভিন্নজনকে বন্ধু হওয়ার আমন্ত্রণ জানান। এর পর তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে মোবাইল ফোন নম্বর নেন।  ফোনে নারীকণ্ঠে কথা বলে সোনাগাজীতে ডেকে এনে জিম্মি করে টাকা, ফোন ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করে তাড়িয়ে দেন।

শুক্রবার আইয়ুবের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটে। ফোনে কল পেয়ে আইয়ুব আসামিদের বলা জায়গায় গেলে ইমাম, মশিউর, ফখরুল, ছিদ্দিকসহ পাঁচ থেকে ছয়জন তাকে আটক করে বেদম মারপিট করেন।

এ সময় তার কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ইমাম ও মশিউরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। অন্যরা পালিয়ে যান। পরে আহতাবস্থায় আইয়ুবকে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

আইয়ুব খানের দাবি, তাকে জিম্মি করে ১২ হাজার ৪০০ টাকা, একটি মোবাইল ফোনসহ তার সঙ্গে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিনিস ছিনিয়ে নিয়েছে আসামিরা। পরে তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে ফেলে চলে যান। বর্তমানে তিনি ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ব্যাপারে সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল মোতালেব চৌধুরী বলেন, গ্রেফতার তিনজন ছাত্রলীগকর্মী। তবে তাদের কোনো পদপদবি নেই।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামিরা একইভাবে আরও কয়েকজনের কাছ থেকে টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

শনিবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *