ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দূরত্ব কেটে গেছে: কাদের মির্জা

জাতীয় লীড

স্বদেশবাণী ডেস্ক: বড় ভাই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দূরত্ব কেটে গেছে বলে জানিয়েছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

তিনি বলেন, নোয়াখালীর প্রশাসন একতরফা তাণ্ডব চালাচ্ছে।  আমাকে ও আমার ভাই ওবায়দুল কাদেরকে সরিয়ে এখানে একরামের রাজত্ব কায়েম করতে চায়।  ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কিছু দূরত্ব ছিল তাও কেটে গেছে।

রোববার সকাল ৯টায় বসুরহাট বঙ্গবন্ধু চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ দাবি করেন।

কাদের মির্জা বলেন, গতকাল বসুরহাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে প্রশাসনের সামনে বহিরাগত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমার নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়।  এতে আমার ১৫ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়।  আমার দুজন নেতাকর্মী ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

তিনি বলেন, আমার ৯ তারিখ আমেরিকায় যাওয়ার কথা ছিল।  আমি মরে গেলে এ দেশে চিকিৎসা করে মরে যাব।  দরকার হলে যুক্তরাষ্ট্র যাব না।  তাও এর শেষ দেখে ছাড়ব।

সমাবেশের আগে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শামিম কবির, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জিয়াউল হক মীর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমা ও থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনিকে প্রত্যাহারের দাবিতে কাদের মির্জার নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বসুরহাট বাজারের বিভিন্ন এলাকা প্রাদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু চত্বরে এসে শেষ হয়।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বসুরহাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাদের মির্জার লোকজন পৌরসভা অভিমুখে মিছিল নিয়ে আসার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় বিরোধী পক্ষের লোকজন গুলিবর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে।  এতে কাদের মির্জার ৯ অনুসারী গুলিবিদ্ধ হন।

আহতরা হলেন—  পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন (৪৭), ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ জিসান (২৩), নওশাদ (৩৫), শামসুল হকের ছেলে মো. সবুজ (৪০), আবদুল লতিফ দুলালের ছেলে রুহুল আমিন সানি (৩০), মোস্তফা মেস্তরীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮), ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এনামুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন সুমন (২৭), চরকাঁকড়ার মোশারেফ হোসেনের ছেলে দিদার (৩৫) এবং মৃত মোস্তফার ছেলে মাঈন উদ্দিন কাঞ্চন (৪২)।

এদিকে গতকাল রাত ৯টায় ফেসবুক লাইভে এসে ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি ও অ্যাডিশনাল এসপি শামিমকে প্রত্যাহারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন আবদুল কাদের মির্জা।  প্রত্যাহার না করা হলে কোম্পানীগঞ্জের মানুষকে নিয়ে আন্দোলন শুরু করার ঘোষণাও দেন তিনি।

প্রসঙ্গত ঈদের পর দিন বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ঢাকায় এসে দেখা করেন কাদের মির্জা।  এ সময় দুজনের মধ্যে আঞ্চলিক রাজনীতি নিয়ে কথা হয়।  এ সাক্ষাতের পর দুজনের অভিমান দূর হয় বলে কাদের মির্জা জানান।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *