রাতেই হত্যা করা হয় চিকিৎসক সাবিরাকে

জাতীয় লীড

স্বদেশবাণী ডেস্ক: রাজধানীর কলাবাগানে নিজ বাসায় চিকিৎসক সাবিরা রহমানকে হত্যা করা হয়েছে।  আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, রাতের কোনো এক সময় সাবিরাকে হত্যা করা হয়।  তাকে কুপিয়ে হত‌্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। হত‌্যাকাণ্ডের আলামত সংগ্রহ করছে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট।

ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক শেখ রাসেল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সাবিরার শ্বাসনালী কেটে ফেলা হয়েছে। তার দেহে পোড়া ক্ষত আছে। প্রাথমিকভাবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, রোববার (৩০ মে) রাতের কোনো এক সময় এ হত‌্যাকাণ্ড ঘটেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, সাবিরাকে হত‌্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি দুর্বৃত্তরা। তার লাশ পুড়িয়ে ফেলতে তোষকে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। সাবিরার লাশের কিছু অংশ পুড়ে গেছে। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা নিশ্চিত হতে ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা আলামত সংগ্রহ করছেন। শিগগিরই এ হত‌্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হবে বলে আশা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

শামসুদ্দীন আজাদ সাবিরার দ্বিতীয় স্বামী। তার আগের স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।  তিনি চিকিৎসক ছিলেন। দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে ছেলে আগের স্বামীর ঘরের।

সাবিরার মামাতো ভাই জানান, সাবিরার এক ছেলে, এক মেয়ে। ছেলে বড় মেয়ে ছোট। ছেলে বিবিএ পড়ে, মেয়ের বয়স ১০ বছর। ওনার স্বামী আবুল কালাম আজাদ এখানে থাকেন না। মনোমালিন্যের কারণে এক বছর ধরে আলাদা থাকেন সাবিরা-আজাদ। তবে ওনাদের ভেতরে যোগাযোগ ছিল এবং ভালো সম্পর্ক ছিল।

সাবিরার স্বামী সামসুদ্দীন আজাদ বলেন, আমি সকাল ১১টার দিকে খবর পেয়ে এখানে আসি। পুলিশ প্রথমে ভেতরে ঢুকতে দেয় নাই। পরে ভেতরে ঢুকে দেখি রক্তাক্ত লাশ। আমি কাউকে সন্দেহ করতে পারছি না। পুলিশের তদন্তের মাধ্যমে আমি এর সঠিক বিচার চাই।

ডা. সাবিরা কলাবাগানের ৫০/১ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন।  তিনি গ্রিন লাইফ হাসপাতালের রেডিওলোজি বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন। ওই বাড়ির একটি ফ্ল্যাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।  নিহতের পিঠে দু’টি ও গলায় একটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিনি ফ্ল্যাটের দু’টি রুম অন্য একজনকে সাবলেট দিয়েছেন।

ডিবি পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক বলেন, চিকিৎসক নিহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বিস্তারিত তদন্তের পরই বলা যাবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *