জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশের স্বার্থ তুলে ধরবে লন্ডন, আশা প্রধানমন্ত্রীর

জাতীয় লীড

স্বদেশবাণী ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আশা করে যুক্তরাজ্য জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর স্বার্থ ও অগ্রাধিকারের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরবে।

কপ-২৬ এর সভাপতি অলোক শর্মা আজ সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম-সিভিএফ’র বর্তমান সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ আশা করে যুক্তরাজ্য জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর স্বার্থ ও অগ্রাধিকারের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরবে।’

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং অন্য কয়েকটি দেশ বৈশ্বিক জলববায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে, যদিও বাংলাদেশের কার্বন নিঃসরণের পরিমান খুবই নগণ্য।’

বৈঠকে অলোক শর্মা আশা প্রকাশ করেন যে, সিভিএফ’র বর্তমান সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

প্রেস সচিব বলেন, তাঁরা উভয়ে জলবায়ু তহবিল এবং অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা করেন।

অলোক শর্মা গ্রীন এনার্জিতে রূপান্তরের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গ্রীণ এ্যানার্জির দিকে যাচ্ছি এবং আমাদের দেশে সৌরশক্তির ৫ দশমিক ৮ মিলিয়ন সংযোগ প্রদান করা হয়েছে।

সরকার ও দলের পক্ষ থেকে ব্যাপক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। কোভিড-১৯ এর টিকাদান কর্মসূচি সম্পর্কে অলোক শর্মা বলেন, যুক্তরাজ্যে ভালভাবেই এই টিকাদান কর্মসূচি চলছে।

টিকাদান কর্মসূচি সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও এই মহামারীর মধ্যে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।

অলোক শর্মা যেহেতু বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন সফরে যাবেন তাই সুন্দরবন সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রী তাঁকে অবহিত করেন। কপ-২৬ প্রেসিডেন্ট আগামী নভেম্বরে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠেয় কপ-২৬ সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান।

এই সময় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *