চুয়াডাঙ্গার কোনো হাসপাতালেই নেই আইসিইউ

জাতীয় লীড

স্বদেশবাণী ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গায় করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য সরকারি-বেসরকারি কোনো হাসপাতালেই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) নেই। এক বছরের বেশি সময় ধরে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা আশ্বাস দিয়েও এখন পর্যন্ত জেলায় কোনো আইসিইউ চালু করা যায়নি। আর কত দিনে আইসিইউ চালু হবে, তা কেউই বলতে পারছেন না।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আইসিইউ চালু করতে হলে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, প্রশিক্ষিত নার্স, ভেন্টিলেটর চালানোর মতো দক্ষ জনবল দরকার, যা চুয়াডাঙ্গায় নেই। এসব পদে অভিজ্ঞ লোকজনকে আনতে তেমন উদ্যোগও নেই। আবার বিশেষ ব্যবস্থায় কারও পোস্টিং হলেও আসতে চান না।

গত বছরের এপ্রিলে জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে জরুরি প্রয়োজনে মুমূর্ষু করোনা রোগীদের চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। ঢাকায় নেওয়ার পথে অথবা নেওয়ার পর এ পর্যন্ত অন্তত ছয়জন মারা গেছেন, যাদের মধ্যে জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার ও জেলা পরিষদ সদস্য আশাবুল হক রয়েছেন।

জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সম্প্রসারিত ১৫০ শয্যার ভবনসহ ১৯৫ শয্যা এবং তিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরও ৫৫টি শয্যা প্রস্তত রাখা হয়েছে। এসব শয্যার বিপরীতে ৩০ জন চিকিৎসক ও ২৭ জন নার্স সংযুক্ত রাখা হয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে আরও ১০ জন চিকিৎসককে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা (রোগ নিয়ন্ত্রণ) আওলিয়ার রহমান বলেন, ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালসহ জেলার ৪টি সরকারি হাসপাতালে ২৫০টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ শয্যায় রোগী আছেন, আর ২২২টি বর্তমানে শূন্য। চুয়াডাঙ্গায় ৮ শয্যার আইসিইউ চালু এবং এর প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সিভিল সার্জন এএসএম মারুফ হাসান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। সরকারও প্রতিটি জেলায় আইসিইউ চালুর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, গেল ২৪ ঘণ্টায় ১৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা সংক্রমণের হার ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *