১৫ বছর কনডেম সেলে থাকা ফাঁসির আসামি খালাস

জাতীয়

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের ইটনার মকবুল হোসেন। মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে ১৮ বছর কারাজীবনের মধ্যে ১৫ বছর ধরে আছেন কনডেম সেলে। একটি খুনের ঘটনায় বিচারিক আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। উচ্চ আদালতেও মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। পরে খালাস চেয়ে আপিল করেন তিনি।

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চের এক রায়ে খালাস দেওয়া হয়েছে মকবুলকে। আইনজীবীরা বলছেন, সর্বোচ্চ আদালত মকবুলকে খালাস দেওয়ায় মুক্তিতে আপাতত কোনো বাধা নেই।

আসামির আইনজীবী উম্মে কুলসুম রেখা যুগান্তরকে বলেন, মকবুল হোসেনের আপিল অ্যালাউ হয়েছে। তাকে খালাস দেওয়ায় মুক্তিতে আপাতত কোনো বাধা নেই। রায়ের কপি পৌঁছলে কারাবিধি অনুযায়ী তিনি মুক্তি পাবেন।

তিনি বলেন, এ মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী কোনো সাক্ষী নেই। বেশ কিছু অসামঞ্জস্য বিষয় আদালতের কাছে তুলে ধরেছি। আদালত সার্বিক বিবেচনায় রায় দিয়েছেন। রেখা আরও বলেন, এই মামলায় ২০০৩ সাল থেকে মকবুল হোসেন কারাগারে। ২০০৬ সালে থাকে কারাগারের কনডেম সেলে নেওয়া হয়। সেই থেকে তিনি কনডেম সেলে আছেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, আসামি মকবুল হোসেন ওরফে মকবুল হাসানের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার ছিলনী গ্রামে। কাজের জন্য তিনি ঢাকার সবুজবাগ থানার উত্তর মুগদাপাড়া এলাকায় থাকতেন। ২০০৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর ওলিউল্লাহ নামের এক ব্যক্তি খুন হন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি মকবুল।

২০০৬ সালে ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল মকবুল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। এরপর মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি মকবুল হোসেন আপিল করেন। আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে ২০১২ সালে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধেও আপিল দায়ের করেন মকবুল। সেই আপিল শুনানি শেষে মকবুলকে খালাস দিলেন সর্বোচ্চ আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ও উম্মে কুলসুম রেখা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *