ঘরে ঢুকে শরিফ, পাহারা দেয় জলিল

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: চট্টগ্রামে গত ১০ বছরে ৭শ’ বাসায় চুরি করেছে মো. শরিফ (৩৮) ও মো. আবদুল জলিল (৩০) নামের দুই চোর। বাসাবাড়িতে চুরি করাই তাদের পেশা। এরমধ্যে শরিফ বাসাবাড়িতে কৌশলে ঢুকে চুরি করে। জলিল কিছু দূরে রিকশা নিয়ে অবস্থান করে কেউ আসছে কি না, পাহারা দেয়। বাসাবাড়ি থেকে চুরি করা স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করা হতো প্রনব ধর (৬৫) নামের এক জুয়েলারি ব্যবসায়ীর কাছে। কোতোয়ালী থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর তারা পুলিশকে এসব তথ্য দিয়েছে।

পুলিশ জানায়, কোতোয়ালী থানায় বাসাবাড়িতে চুরির কয়েকটি ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে কোতোয়ালী থানাধীন ফিরিঙ্গীবাজার জেএম সেন স্কুলের সামনে থেকে শরিফ ও আবদুল জলিলকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি সেলাই রেঞ্জ, ১টি ছেনি, ১টি ট্রাভেল ব্যাগ ও ১টি রিকশা উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে জুয়েলারি ব্যবসায়ী প্রনব ধরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শরিফ ও আবদুল জলিল পুলিশকে জানায়, শরিফ ও জলিল সন্ধ্যাবেলায় একটি রিকশা নিয়ে এলাকায় টহল দিয়ে দেখে সন্ধ্যার সময় কোনো বাসাবাড়িতে বাতি জ্বলছে কি না। যে বাসায় বাতি জ্বলে না ওই বাসাকে টার্গেট করে রাতের বেলায় সেলাই রেঞ্জ ও ছেনি ব্যবহার করে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে স্বর্ণালঙ্কার মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে। এরমধ্যে শরিফ চুরি করে আর জলিল রিকশা নিয়ে কিছু দূরে অবস্থান করে।  জলিল রিকশা নিয়ে পুলিশ আসছে কি না, পাহারা দেয় এবং পুলিশ আসার সংবাদ পেলে শরিফকে অবগত করে। তারা চোরাই স্বর্ণ প্রনব ধর নামের এক ব্যক্তির কাছে প্রতি ভরি ৩৭ হাজার টাকায় বিক্রি করত। এরমধ্যে শরিফ চকবাজার ও খুলশী থানায় চুরির ঘটনায় ৫ বার গ্রেফতার হয়।  জলিল চকবাজার থানায় ২ বার গ্রেফতার হয়। তারা জামিনে বের হয়ে পুনরায় চুরি পেশায় জড়িয়ে পড়ে।

কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন যুগান্তরকে বলেন, কয়েকটি চুরির ঘটনায় থানায় দায়ের করা অভিযোগের সূত্র ধরে এবং বাসাবাড়িতে পাওয়া সিসিটিভির ফুটেজ দেখে দুই চোরকে গ্রেফতার করা হয়। তারা গত ৮-১০ বছরে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৭০০ চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *