স্বদেশ বাণী ডেস্ক: পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘেঁষা ধলিয়া খালের ওপারেই মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সাত গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। তাদের ধলিয়া খাল পারাপারের একমাত্র ভরসা নিজেদের উদ্যোগে তৈরি কাঠের ঝুলন্ত সেতু।
সাম্প্রতিক প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘেঁষা ধলিয়া খালের ওপর নির্মিত সেই কাঠের সেতু ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়ে মোহাম্মদপুর-বড়ঝালাসহ পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। মাটিরাঙ্গা পৌর শহর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এ জনপদের নিম্নআয়ের মানুষগুলো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ হলে সেতুটি নির্মাণে এগিয়ে আসেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অ.দা) মো. হেদায়েত উল্যাহকে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার অর্থায়নে জনদুর্ভোগ লাঘবে কাঠের ঝুলন্ত সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অ.দা) মো. হেদায়েত উল্যাহ। উদ্যোগ গ্রহণের ৩০ দিনের মাথায় মঙ্গলবার বিকালের দিকে কাঠের ঝুলন্ত সেতুটি জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন পরে জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার মাধ্যমে প্রাণ ফিরে পেয়েছে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘেঁষা ধলিয়া খালের ওপর ভেঙে যাওয়া সেই কাঠের সেতু। দীর্ঘ ভোগান্তির লাঘব হয়েছে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর ও বড়ঝালাসহ সাত গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের। একটি কাঠের ঝুলন্ত সেতু পেয়েই খুশি মাটিরাঙ্গা শহর ঘেঁষা পাঁচ গ্রামের মানুষ।
ধলিয়া খালটি ৭নং ওয়ার্ডের পাঁচ গ্রামের মানুষকে শহর থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে জানিয়ে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মিজানুর রহমান খোকন বলেন, বছরের ১২ মাসই ধলিয়া খালে পানি থাকে। ফলে ভোগান্তি মানুষের পিছু ছাড়ে না। সাম্প্রতিক প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে যাওয়া কাঠের ঝুলন্ত সেতুটি নির্মাণে এগিয়ে আসায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘবে ধলিয়া খালের ওপর পাকা সেতু নির্মাণেরও দাবি জানান।
অতিবৃষ্টির কারণে স্থানীয়দের উদ্যোগে নির্মিত কাঠের ঝুলন্ত সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় পাঁচ গ্রামের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে মন্তব্য করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অ.দা) মো. হেদায়েত উল্যাহ বলেন, বিষয়টি জানার পর জেলা প্রশাসক নিম্নআয়ের মানুষের জীবন ও জীবিকার কথা চিন্তা করে জনস্বার্থে সেতুটি নির্মাণের নির্দেশ প্রদান করেন। আজ তা জনগণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হলো।