আদালতে মুহিবুল্লাহ হত্যার দায় স্বীকার করল আজিজুল

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক:  রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন আজিজুল হক।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কক্সবাজার-৪ এর বিচারক জেরিন সুলতানার কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আজিজুল।

পুলিশ বলছে, আজিজুল হক মুহিবুল্লাহ হত্যার কিলিং ‘স্কোয়াড’ অন্যতম একজন সদস্য।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কিলিং স্কোয়াডে থাকা আজিজুলসহ চারজনকে গ্রেফতার করেন এপিবিএনের সদস্যরা। সেখান থেকে আজিজুল বিকালে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এরআগে শনিবার ভোরে মুহিবুল্লাহ হত্যায় কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া আজিজুল হককে লাম্বাশিয়া পুলিশ ক্যাম্পের লোহার ব্রিজ এলাকা থেকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে এপিবিএন-১৪ এর সদস্যরা।

এ ছাড়াও শনিবার হত্যার মিশনে অন্যতম ভূমিকা রাখা মোহাম্মদ রশিদ প্রকাশ মুরশিদ আমিন ও একই ক্যাম্পের বি-ব্লকের ফজল হকের ছেলে মোহাম্মদ আনাছ ও নুর ইসলামের ছেলে নুর মোহাম্মদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুলের স্বীকারোক্তির কথা জানিয়ে ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক বলেন, মুহিবুল্লার হত্যার দুই দিন আগে মরগজ পাহাড়ে কিলিং মিশনের জন্য বৈঠক করে দুর্বৃত্তরা। সেখান থেকে ৫ জনকে অস্ত্রসহ মোট ১৯ জনকে নির্দেশ দেওয়া হয় মিশন শেষ করার জন্য।

জিঙ্গাসাবাদে আজিজুল হক জানান, দিন দিন মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের নেতা হিসেবে পরিচিত হচ্ছে। তার উত্থান ও প্রত্যাবাসন ঠেকাতে যেকোনো মূল্যে তাকে হত্যা করার নির্দেশ দেওয়া হয়।তাই ২৯ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহকে বাসা থেকে অফিসে প্রত্যাবাসন বিষয়ে কথা আছে বলে ডেকে আনে গ্রেফতারকৃত আরেক সদস্য মুরশিদ। তারপর বাকিদের সংকেত দিয়ে দেয় সে।

নাইমুল হক আরও জানান, প্রথমে একটি, তার পরেরজন দুইটিসহ চারটি গুলি করা হয় মুহিবুল্লাহকে। তারপর মুহিবুল্লার বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যায় স্কোয়াডের ৫ জন। পরে সবাই সতর্ক হয়ে যায়। বিভিন্নজনের ওপর দোষ চাপাতে থাকে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ক্যাম্পের ভেতরে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

পরের দিন (৩০ সেপ্টেম্বর) নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ অজ্ঞাত নামা ১৫-থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *