ইলিশ ধরা শুরু

জাতীয় লীড

স্বদেশবাণী ডেস্ক: ২২ দিন পর সোমবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরা। ইলিশের প্রজনন প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন রাখতে  ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার।

সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে নদীতে নামেন উপকূলের জেলেরা। এ উপলক্ষে গেল দুদিন ধরেই সরব ছিল উপকূলীয় জেলার জেলেপল্লী গুলো।

মৎস গবেষকরা বলছেন, ইলিশ সারা বছরই ডিম ছাড়ে, তবে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর এই দুই মাসের চারটি অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় ডিম ছাড়ে বেশি।

বিশেষ করে অক্টোবর অর্থাৎ আশ্বিনের দুটি অমাবস্য ও পূর্ণিমায় সবচেয়ে বেশি ডিম ছাড়ে মা ইলিশ। এ জন্য প্রতি বছর এই সময় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

এর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে মা ইলিশ রক্ষা করা, যাতে তারা নিরাপদে নদীতে এসে ডিম ছাড়তে পারে। এই ডিম রক্ষা করতে পারলে তা থেকে জাটকার জন্ম হবে। সেই জাটকা রক্ষা করা গেলে বড় আকারের ইলিশের উৎপাদন বাড়বে।

মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর  আবার জাটকা ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।

প্রতি বছর দুই ধাপের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে এরইমধ্যে দেশে ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে। শুধু তাই নয় ওজন ও আকারেও পরিবর্তন এসেছে।

সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে গেল ২২ দিন দেশজুড়ে ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ ছিল। শুধু তাই নয়, ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রে সব ধরনের মৎস্য ধরাতেই নিষেধাজ্ঞা ছিল।

মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, এ বছর মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফল করতে ১ হাজার ৮৯২টি মোবাইল কোর্ট ও ১৫ হাজার ৩৮৮টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৮৮৪ লাখ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে।

বাংলাদেশে ২০০৩ সাল থেকে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি শুরু হয়। এর পর থেকে ধারাবাহিক নিষেধাজ্ঞা কর্মসূচীর ফলে ইলিশের উৎপাদন বাড়তে থাকে।

মৎস্য অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী গত এক দশকে বাংলাদেশে ইলিশের উৎপাদন প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *