স্বদেশবাণী ডেস্ক: রংপুরের তারাগঞ্জে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ঘাতক স্বামী আব্দুল্লাহ। শনিবার দুপুরে তারাগঞ্জ থানার ওসি ফারুক আহাম্মদ নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের মাদ্রাসাপাড়া গ্রামের আব্দুল্লাহ ও তার স্ত্রী রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে ঘটনার রাত ৩টার দিকে স্ত্রী সালেমা বেগমকে (৪০) ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন ঘাতক আব্দুল্লাহ।
নিহত গৃহবধূ সালেমা বেগম একই উপজেলার মণ্ডলপাড়া গ্রামের আলেফ উদ্দিনের মেয়ে। এ ঘটনায় পুলিশ তার স্বামী ঘাতক আব্দুল্লাহকে (৫০) গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এর আগে শুক্রবার বিকালে বোনকে হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই ভুট্টু মিয়া বোনজামাই আব্দুল্লাহকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
তারাগঞ্জ থানার ওসি ফারুক আহাম্মদ জানান, আসামি নিজেই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছেন, বাড়িতে গরুর দালাল তাদের গরু ২২ হাজার টাকা দাম করেছিলেন। কিন্তু আব্দুল্লাহ তাদের না দিয়ে তারাগঞ্জ হাটে গত সোমবার সেই গরু ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী সালেমাকে খরচ বাদে ১৯ হাজার টাকা দেন।
এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল কয়েক দিন থেকে। ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সংসারে অশান্তি হওয়ায় আব্দুল্লাহ ঠিক করেন তিনি তার স্ত্রীকে মেরে ফেলবেন। সেই কথা মাথায় রেখে ঘটনার রাতে তার স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়লে তিনি দা দিয়ে স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা করেন।