হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক : বাগেরহাটের রামপালে আলমগীর হোসেন (২২) নামের এক যুবককে হত্যার দায়ে মো. সিরাজুল ইসলাম মিয়া (২৮) ও তার স্ত্রী মোসা. সাবিনা বেগমকে (২৪) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত দায়রা ও জজ-২য় আদালতের বিচারক তপন রায় এই আদেশ দেন।

একইসঙ্গে আদালত দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত সিরাজুল ইসলাম মিয়া ঝিনাইদহ জেলার মহেষপুর উপজেলার জগীহদা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত থাকলেও স্ত্রী মোসা. সাবিনা বেগম পলাতক রয়েছেন।

মামলাসূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে স্থানীয় আলমগীর নামের এক যুবককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন সিরাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মোসা. সাবিনা বেগম। পরবর্তীতে আলমগীরের মরদেহ পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দেন তারা। এ ঘটনায় নিহত আলমগীরের বাবা রামপাল উপজেলার মালিডাঙ্গা গ্রামের মোশারেফ হোসেন বাদি হয়ে রামপাল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত শেষে পরের বছরের ২৪ মার্চ রামপাল থানার এস আই ইমারত শেখ সিরাজুল ইসলাম মিয়া ও তার স্ত্রী মোসা. সাবিনা বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করেন। বিচারিক আদালত হত্যায় মামলায় ১১ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে স্বামী ও স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

হত্যার কারণ সম্পর্কে যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত সিরাজুল ইসলামের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার পারগোবিন্দপুর গ্রামের গনি শেখের বাড়িতে ভাড়া থাকেন সিরাজুল ইসলাম মিয়া ও তার স্ত্রী মোসা. সাবিনা বেগম। সিরাজুলের অনুপস্থিতে তাদের পূর্ব পরিচিত আলমগীর শেখ সাবিনাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে সাবিনা বেগম স্বামী সিরাজুলকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে দুজনে কৌশলে আলমগীরকে ডেকে এনে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রী দুজনই গ্রেফতার হলে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হন স্ত্রী সাবিনা বেগম। তারপর থেকে পলাতক রয়েছেন সাবিনা।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন অতিরিক্ত পিপি এ্যাডভোকেট সীতারানী দেবনাথ ও এপিপি শরৎচন্দ্র মজুমদার। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মিহির কুমার দেবনাথ।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *