মোংলায় পৌঁছেছে মেট্রোরেলের আরও ৪ বগি ও ২ ইঞ্জিন

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক: মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে মেট্রোরেলের আরও একটি চালান। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চারটি বগি ও দুটি ইঞ্জিন নিয়ে বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করে পানামা পতাকাবাহী ‘ব্রাইটলি কোরাল’ জাহাজটি।

গত ২৫ অক্টোবর জাপানের কোবে বন্দর থেকে ছেড়ে আসা এই জাহাজে মেট্রোরেলের বগি ছাড়াও ৮০ প্যাকেজের ৪২৩ মেট্রিক টনের সরঞ্জামও এসেছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। শনিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে জেটিতে এসব পণ্য খালাস প্রক্রিয়া শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

পানামা পতাকাবাহী ‘এম ভি ব্রাইটলি কোরাল’র স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনশিয়েন্ট স্টিম শিপ কোম্পানির ব্যবস্থাপক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, এ পর্যন্ত মোট ছয়টি জাহাজে করে মেট্রোরেলের মোট ৪৮টি বগি মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়। আগামী মাসে মেট্রোরেলের আরও একটি চালান আসার কথা রয়েছে। সব মিলে ২০২২ সালের মধ্যে মেট্রোরেলের আরও ৯৮টি বগি ও ইঞ্জিন আসবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে পাঁচটি জাহাজে করে সর্বমোট ৪৪টি বগি মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়। এসব বগি সংযোজন হয়ে ইতোমধ্যে বাস্তবে রুপ নিয়েছে। গত ২৯ আগষ্ট উত্তরা থেকে পল্লবী পর্যন্ত স্বপ্নের মেট্রোরেলের বাস্তবে পরীক্ষামূলক চলাচলও শুরু হয়।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, দেশে আমদানি হওয়া মেট্রোরেলের এসব বগি মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হওয়ার ক্ষেত্রে বন্দরের সক্ষমতার প্রমাণ মিলেছে।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘এর আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন মালামাল ও যন্ত্রাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে আসে। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বন্দরের আউটার বারের ড্রেজিং সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ইনার বারের ড্রেজিং চলছে। নাব্যতা সংকট দূর হওয়ায় এখন বড় বড় জাহাজ এই বন্দরে ভিড়তে পারছে। সবমিলিয়ে এটা একটা প্রতিফলন যে, মোংলা বন্দর একটি গতিশীল বন্দর হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে এবং বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে, মেট্রোরেলের প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানায়, রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্পটি নির্মিত হচ্ছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *