ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১৫৯ রোগী হাসপাতালে

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক: রাজধানীসহ সারাদেশে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১৫৯ জন ভর্তি হয়েছেন। তার মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ১২৪ জন ও জেলাগুলোর হাসপাতালে ৩৫ জন ভর্তি হন।

শনিবার (১৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৫৯ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা ৬৭৭ জন।

 

চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে শনিবার (১৩ নভেম্বর) পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৫ হাজার ৫০৩ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৪ হাজার ৭২৯ জন। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ৯৭ জন।

প্রতিবছর বর্ষাকালেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ দেখা দেয়। ২০১৯ সালে দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়েছিল।

ডেঙ্গু প্রকোপের এ সময়ে বাসাবাড়িতে অব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্রে পানি জমতে না দেওয়াসহ দিনে ও রাতে মশারি টানানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেজ্ঞরা।

দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩০০ মানুষ প্রাণ হারান। তবে সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা ১৭৯।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি নিরাপদ এবং কার্যকর ডেঙ্গু ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা এখনও চলছে। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা মেনে চলা এবং প্রতিরোধমূলক প্রোটোকল মেনে চলা সর্বোত্তম উপায়। এটি মনে রাখা উচিত যে ডেঙ্গু একটি সংক্রমণ হিসেবে রয়ে গেছে, যা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্মূল করা যায়।

যতক্ষণ পর্যন্ত ভালো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত এটি সম্পূর্ণ রূপে এড়ানো যায়। দরজা, জানালার পর্দা, প্রতিষেধক, কীটনাশক সামগ্রী, কয়েলের ব্যবহার করতে হবে। ত্বকের সংস্পর্শে যাতে মশা কম আসতে পারে এমন পোশাক অবশ্যই পরতে হবে। প্রাদুর্ভাবের সময় স্প্রে হিসেবে কীটনাশক প্রয়োগ করা যেতে পারে। মশা ডিম পারতে পারে এমন জায়গায় নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে। খোলা পাত্রে পানি জমতে দিলে হবে না, এ জন্য নিয়মিত নজরদারি করতে হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *