স্বদেশবাণী ডেস্ক: জাতীয় উদ্যানে প্রবেশের ছোঁয়াখালী খালের সেতুটি ধসে পড়ে আছে। এখন কাঠের সাঁকোতেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। পর্যটক ও স্থানীয়দের চলাচলের জন্য ভেঙে পড়া সেতুর পাশে কাঠ দিয়ে অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়েছে সাঁকো। ওই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন মানুষ।
এ ছাড়া সেতু থেকে নামার বাজার পর্যন্ত জাতীয় উদ্যানে প্রবেশের প্রধান সড়কের মাটি সরে ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেতু থেকে নামার বাজার পর্যন্ত জাতীয় উদ্যানে প্রবেশের প্রধান সড়কের বেশ কয়েকটি জায়গায় আরসিসি ঢালাইয়ের নিচ থেকে মাটি সরে সড়ক ভেঙে খালে পড়ে গেছে। জোয়ারের পানিতে আরসিসি ঢালাইয়ের নিচ থেকে মাটি সরে নিঝুম দ্বীপের প্রধান সড়ক খালে পড়ে গেছে। সড়ক ও সেতুটি শিগগিরই নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন মাস আগে বর্ষার প্রবল জোয়ারে নিচ থেকে মাটি সরে সেতুটি ভেঙে পড়ে। এর পর কিছু দিন নৌকা দিয়ে মানুষ পারাপার হলেও যানবাহন ও মালামাল পারাপারে অসুবিধা হতো। তাই স্থানীয়রা সবাই মিলে সেতুর পাশে কাঠের সাঁকো তৈরি করেছেন।
এই সাঁকো দিয়ে মানুষ চলাচল করলেও ভারি যানবাহন পারাপারে সমস্যা হচ্ছে। এখন শীতের মৌসুম, নিঝুম দ্বীপে পর্যটক আসা শুরু করেছেন। ভাঙা সেতু ও সড়কের কারণে পর্যটকদের যাতায়াতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় উদ্যান নিঝুম দ্বীপে সরকারি উদ্যোগে পর্যটকদের জন্য তেমন কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। দ্বীপে আসার যোগাযোগ ব্যবস্থাও খারাপ। সড়কগুলো যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী। উদ্যানে প্রবেশের মুখে সেতু ভাঙা। এখানে আসতে খুবই কষ্ট হয়েছে।
নিঝুম দ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন বলেন, নিঝুম দ্বীপ একটি জাতীয় উদ্যান। নিঝুম দ্বীপে পর্যটকসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করব। উদ্যানের প্রবেশ মুখের সেতু ও সড়কটি নতুন করে নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন।