চুরির অপবাদ দেওয়ায় ব্যবসায়ী সামসুলকে হত্যা

জাতীয়

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: চুরির অপবাদ দেওয়ায় ব্যবসায়ী সামসুলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে তার দোকানের সাবেক কর্মচারী ইয়াছিন মিয়া।  চুরির অপবাদ দেওয়ায় টাঙ্গাইলে কাঠ ব্যবসায়ী সামসুল হককে পিটিয়ে হত্যা করেছে তার দোকানের সাবেক কর্মচারী। এ ঘটনায় আড়াই মাস পর ওই যুবককে গ্রেফতারের পর চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করা হয়। রোববার দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

জেলা পুলিশের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ২৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শহরের সন্তোষ বাগবাড়ি যক্ষা হাসপাতালের সামনের পুকুর থেকে সামছুল হক (৫৫) নামের এক কাঠ ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন তার ভাই শামিম আল মামুন বাদী হয়ে টাঙ্গাইল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) যৌথভাবে তদন্ত করে। পরে সামছুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গদুরগাতি গ্রামে বুদ্ধু মিয়ার ছেলে ইয়াছিন মিয়াকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, ইয়াছিন মিয়া ৬ মাস আগে সামছুল হকের কাঠের দোকানে মাসিক ১৫শ টাকা বেতনে কাজ করতেন। তাকে বিভিন্ন সময় চুরির অপবাদ দেওয়া হতো। সর্বশেষ ৭ মাস আগে সামছুল হকের দোকান থেকে কুড়াল হারিয়ে যায়। সেই চুরির অপবাদও ইয়াছিনকে দেওয়া হয়।

তার বাবাকে ডেকে এনে ইয়াছিনকে মারধর করানো হয়। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে দোকান ছেড়ে চলে যায়। ঘটনার দিন রাতে সামছুল হক মোবাইল ব্যবহার করতে করতে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই সময় ইয়াছিন লাঠি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। সামছুল মাটিতে পরে যাওয়ার পর ইয়াছিন চলে যায়। কিছুক্ষণ পর ইয়াছিন এসে দেখতে পায় সামছুল সেখানেই জীবিত অবস্থায় পড়ে আছেন।

পরে পুনরায় তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে সামছুলের মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়। কিছুদিন আগে সামছুলের ফোনে অন্য সিম ব্যবহার করে কথা বলে ইয়াছিন। সেই সূত্র ধরেই ইয়াছিনকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। এ হত্যাকাÐটি তিনি একাই ঘটিয়েছেন বলেও জানান পুলিশ সুপার। পরে তাকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়।

স্ব.বা/ রু

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *