এবার ঊর্ধ্বমুখী ডালের বাজার

জাতীয় বিশেষ সংবাদ লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের অস্থিরতা কাটছেই না। বরং নিত্য নতুন পণ্য সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে। এবার তালিকায় যুক্ত হলো বিভিন্ন ধরনের ডাল। কয়েকদিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে মসুর ডালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা। দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা কেজিতে। আর হাইব্রিড মাঝারি মসুর ডালের দাম কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে পবিত্র রমজান মাসে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। কয়েকদিন আগেও বিক্রি হয়েছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। অন্যদিকে মুগ ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, খেসারি ৮০-৮৫ টাকা ও এ্যাংকর ডাল ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শনিবার (১২ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মধুবাগ ও রামপুরা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, দেশে উৎপাদিত ডালের মৌসুম শেষদিকে। আর আমদানি করা বেশিরভাগ ডালই বিক্রি হয়ে যাওয়ায় আমদানিকারকরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

গত ডিসেম্বরে প্রতি কেজি মোটা বড় মসুর ডাল ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা এবং সরু মসুর ডাল মানভেদে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকায় নেমে আসে। ব্যবসায়ীরা জানান, দেশি সরু মসুর ডালের মৌসুম শেষ পর্যায়ে থাকায় ডিসেম্বরের শেষ দিকে দাম কিছুটা বেড়ে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়। এ সময় অন্য ডালের দাম স্থিতিশীল ছিল। হঠাৎ সব ধরনের মসুর ডাল ও এ্যাংকর ডালের দাম বেড়ে গেছে।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী জাকির বলেন, গত তিন দিনে পাইকারিতে মসুর ডালের দাম বস্তায় ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এ কারণে খুচরা বাজারে ডালের দাম বেড়েছে। অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা থেকে আমদানি করা বড় মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজিতে। এ ডাল এক সময় ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বরে ডাল আমদানি বেড়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ। অর্থবছরের এ সময় ১২ কোটি ৪৬ লাখ ডলার বা এক হাজার কোটি টাকার বেশি দামের ডাল আমদানি করা হয়। আগের বছরের এ সময় ১০ কোটি ডলারের ডাল আমদানি করা হয়।

অন্যদিকে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট এখনও চলমান রয়েছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি গোপনে বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৮৫ টাকায়। যদিও বোতলে মূল্য লেখা রয়েছে ১৬৫-১৬৮ টাকা। আর পাঁচ লিটারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের বিক্রি মূল্য ৭৯৫-৮০০ টাকা হলেও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। দোকানিরা এখনও তেল অর্ডার দিয়ে পাচ্ছেন না।

দাম নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলার ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও তার প্রভাব এখনও বাজারে দেখা যায়নি বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *