ধর্ষণ ও অপহরণের দায়ে যুবকের যাবত জীবন কারাদণ্ড 

জাতীয় লীড
শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ শেরপুরের নকলায় কলেজছাত্রীকে (১৬) অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বাবুল তিলক দাস (২৯) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে । ২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে  ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান একমাত্র আসামির অনুপস্থিতিতেই এই  রায় ঘোষণা করেন। আসামি বাবুল তিলক দাস ময়মনসিংহের ফুলবাড়ী উপজেলার নয়নবাড়ী এলাকার পরেশ তিলক দাসের ছেলে। রায়ে একইসাথে অপহরণের দায়ে আরও  ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে উভয় সাজা একইসাথে চলবে।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুালের পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, নকলা উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও হাজী জালমামুদ কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহের ফুলবাড়ী উপজেলার নয়নবাড়ী এলাকার বাবুল তিলক দাস। এক পর্যায়ে ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট ওই ছাত্রী কলেজে যাবার পথে তাকে জোরপূর্বক সিএনজিতে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় বাবুল তিলক দাস। কলেজ শেষ হওয়ার পরও ওই ছাত্রী বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে ওই কলেজছাত্রী নিজেই তার মায়ের নাম্বারে ফোন দিয়ে জানায় যে বাবুল তিলক তাকে অপহরণ করে গাজীপুরের বাসন থানা এলাকায় আটকে রেখেছে। পরে ওই ঘটনায় কলেজছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বাবুল তিলক দাসকে আসামি করে নকলা থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পরদিন একমাত্র আসামিকে গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ৩ নবেম্বর একমাত্র আসামি তিলক দাসের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন নকলা এসআই নিরঞ্জন দাস।
অন্যদিকে হাজতবাসের পর ২০২০ সালের ১২ মার্চ জামিনে মুক্তি পায় তিলক দাস। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিলক দাস পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। বিচারিক পর্যায়ে মামলার বাদী, ভিকটিম, চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করার পর বিচারক উক্ত রায় ঘোষণা করেন।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *