৮০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার ডিআইজি পার্থ গোপালের জামিন নাকচ

জাতীয়

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: ৮০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার সিলেট কারা কর্তৃপক্ষের ডিআইজি পার্থ গোপাল বণিকের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। রোববার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামির জামিন নাকচের এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ফারুক আহাম্মদসহ কয়েকজন আইনজীবী।

আদালতে জামিন শুনানিতে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, এ শহরে আমার (পার্থ গোপাল বণিক) গাড়ি-বাড়ি কিছু নেই। সারা জীবন (২০০২ সাল থেকে অদ্যাবধি) চাকরি করে একটি ফ্ল্যাট কেনার উদ্দেশে ওই টাকা জমিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বাসায় গিয়ে ধরে নিয়ে এসেছে।

দুদক বলছে, মানি লন্ডারিং করেছি। কিন্তু আমি (পার্থ গোপাল বণিক) এ টাকা স্থানান্তর, রূপান্তর কিংবা হস্তান্তর করিনি। এটা আমার বৈধ অর্থ।

অপরদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আসামির জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের উপাদানগুলোর মধ্যে এক নম্বর উপাদান হল- ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ। আসামি সরকারি চাকরিজীবী। তার কাছে এত টাকা থাকে কীভাবে? আসামি তার আয়কর নথিতে ডেইরি ফার্ম করে এ টাকা উপার্জন করেছেন বলে দাবি করেছেন। তবে ১৫টি গরুর দুধ বিক্রি করে এত টাকা উপার্জন সম্ভব না। এটা ধরে নেয়ার যথেষ্ট কারণ আছে যে, ওই টাকা ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন নাকচের ওই আদেশ দেন।

আদালত সূত্র জানায়, আসামি পার্থ গোপাল বণিক সরকারি চাকরিতে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৮০ লাখ টাকা অর্জন করেন এবং তা নিজের দখলে রাখেন। ওই অর্থের অবস্থান গোপন করে পাচারের উদ্দেশে তিনি নিজ আবাসিক বাসার কেবিনেটে লুকিয়ে রাখেন।

গত ২৯ জুলাই দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের আগের দিন ডিআইজি পার্থকে তার গ্রিণ রোডের বাসা থেকে টাকাসহ আটক করে দুদক।

মামলার পরপরই আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই রয়েছেন। সূত্র: যুগান্তর।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *