নড়াইলে তিন শিক্ষকে দুবৃর্ত্তরা হাতুড়ি পেটা

জাতীয়

নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: থানার ওসির নাকের ডগায় তিন শিক্ষক হাতুড়ি পেটা করে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন নড়াইলের চালিঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। এ ঘটনা ঘটায়। আহতদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, নড়াইলের চালিঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পানির মোটর চুরি হয়। পুলিশকে না জানিয়ে চোর সন্দেহে ১৭সেপ্টেম্বর সকালে পুলিশের নাকের ডগা নড়াইলের উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে নড়াইলের কাশিপুর ইউনিয়র পরিষদের সাবেক সদস্য শরিফুল ইসলাম ও নড়াইলের চালিঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মহশীন আলম জোরকরে রকি মোল্যাকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নড়াইলের চালিঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে রকিকে একটি কক্ষে আটকিয়ে দুবৃর্ত্তরা হাত-পা বেঁধে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে দিনভর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়।

স্থানীয়দের সহযোগীতায় রকির ‘মা’ ছেলেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ১৮সেপ্টেম্বর দুপুরে রকির ভাই ফারুক মোল্যা বাদী হয়ে হাতুড়ি পেটা তিন শিক্ষকসহ ৭জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ৫দিন অতিবাহিত হলেও অজ্ঞাত কারনে দুবৃর্ত্তর মামলাটি রেকর্ড ভূক্ত না করে থানার ওসি গড়িমসি করিয়া সময় কাল ক্ষেপন করেন। থানায় ন্যায় বিচার না পেয়ে আস্থা হারিয়ে গতকাল ভূক্তভোগীরা পার্শ্ববর্তী কাঞ্চনপুর এলাকায় পাষন্ড প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দিন সাবু, সহকারী শিক্ষক ছহিবুর রহমান ও মহশীন আলমকে হাতুড়ি পেটা করেছেন বলে জানান স্থানীয়রা।

এ ঘটনায় থানার ওসি মোকাররম হোসেনকে দায়ী করেছেন নড়াইলের কাশিপুর ও নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের নির্বাচিত ও দায়ীত্বপ্রাপ্ত জেলা পরিষদ সদস্য শেখ সুলতান মাহমুদ বিপ্লব। তিনি আরও বলেন,ওসি সঠিক পদক্ষেপ নিলে এমন ঘটনার জন্ম না-ও হতে পারতো!

নড়াইলের লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোকাররম হোসেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রকি মোল্যা অচেতন থাকায় তার জবানবন্দী রেকর্ড করা সম্ভব না হওয়ায় কয়েকদিন দেরী হয়েছে।

শিক্ষকদের মারপিটের কথা শুনেছি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো। উল্লেখ্য-রকি ১৮সেপ্টেম্বর সকালে জ্ঞান ফিরে সাংবাদিকদের কাছে নির্যাতনের বর্ণনা দেয়। তার হাত ভাঙ্গাসহ মাথা ও শরীরে মারাত্মক আঘাত থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে যশোর সদর হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। সে বর্তমানে যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *