মোহাম্মদপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সাথে শিক্ষকের অশোভন আচরণ!

জাতীয়

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: রাজধানীর মোহাম্মদপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে স্কুলটির নবম-দশম শ্রেণীর ছাত্রীদের সাথে অশোভন আচরণ ও বাসায় গিয়ে কোচিং করার জন্য চাপ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বেশ কয়েকজন ছাত্রী স্কুলটির প্রধান শিক্ষকের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে।

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ গতকাল বলেছেন, অভিযোগ ওঠায় এসএমসির (স্কুল ম্যানেজিং কমিটি) নির্দেশে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

স্কুলটির একাধিক শিক্ষক ও ছাত্রীদের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শিক্ষক মিজানুর রহমান ক্লাসে নিয়মিত পাঠদান করেন না। এ অভিযোগ বহু আগের। ছাত্রীদের ক্লাসেই কঠিন কঠিন প্রশ্ন করে ভড়কে দেন। এমনকি অযথা বকাঝকা করেন এমনকি ভয়ভীতি দেখান। ছাত্রীদের তার বাসায় কোচিংয়ের ব্যাচে পড়ার জন্য ক্লাসেই চাপ দেন। বাসায় পড়তে না গেলে পরীক্ষায় নম্বর কম দেবেন বলেও ভয়ভীতি দেখান। শুধু তাই নয়, অভিভাবকদের কাছেও ফোন করে তাদের সন্তান লেখাপড়ায় ভালো না উল্লেখ করে কোচিংয়ে পড়তে দেয়ার জন্য চাপ দেন।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, এসব অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। আমি ক্লাসে ঠিকমতো পাঠদান করে আসছি। আমি ধার্মিক মানুষ। কোনো অন্যায় কাজ করি না।

এদিকে লিখিত কোনো অভিযোগের কোনো চিঠি পাননি বলে জানান বিদ্যালয়টি প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ। তিনি বলেন, শুধু মিজানুর রহমানই নয়, এরকম অভিযোগ আরো অনেকের ব্যাপারে আছে। স্কুলের আশপাশে বাসা ভাড়া নিয়ে তারা কোচিং করিয়ে থাকেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, মিজানসহ আরো কয়েকজনের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক বলেন, গত কয়েক দিন আগে গণিত শিক্ষক মিজান ফোন করে আমার মেয়েকে তার বাসায় পাঠাতে বলেন। যদি তা না করেন তবে তার মেয়ের ফল খারাপ হবে বলে হুমকি দেন।

জানা গেছে, শিক্ষক মিজানের ফোন পাওয়া অভিভাবকদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির একজন সদস্যও আছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান শিক্ষক। এর পরই এসএমসি অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষককে। সূত্র: নয়া দিগন্ত।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *